বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসায় যা বললেন মার্কিন সিনেটর
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফলে তৈরি হয়েছে নতুন একটি নির্বাচনের পথ। এর প্রেক্ষিতে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বেন কার্ডিন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যেখানে বিশ্বে গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক মতপ্রকাশ ক্রমবর্ধমানভাবে হুমকিতে, সেখানে বাংলাদেশের জনগণ সাহসের সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শক্তির রূপান্তর প্রদর্শন করেছে। নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধ হলে তাদের কণ্ঠস্বর এমনকি সবচেয়ে দৃঢ় ও স্বৈরাচারী নেতাদেরও ক্ষমতা ত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারে।
বেন কার্ডিন আরও বলেন, কিন্তু এত সহিংসতা ও রক্তপাত অগ্রহণযোগ্য। যেসব মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য আমরা শোক প্রকাশ করি। যে সরকার কমপক্ষে এক দশকেরও বেশি সময় পর্যায়ক্রমিকভাবে বিরোধীদের গলা টিপে ধরেছিল, আদালতকে ম্যানিপুলেট করেছে, নিজের নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা সার্ভিসকে হাতিয়ার বানিয়েছে; সেখানে এখন সাংবিধানিক নীতির ওপর ভিত্তি করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সামনে নতুন করে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা আমরা সেলিব্রেট করি।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির এই চেয়ারম্যান বলেন, আমি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহ্বান জানাই, একটি দায়িত্বশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের জন্য। যারা দ্রুত অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক নির্বাচন করবে। বাংলাদেশের জনগণ এমন একটি সরকারের দাবিদার, যারা তাদের কণ্ঠস্বরের প্রতি সম্মান দেখাবে, তাদের ইচ্ছের প্রতি সম্মান দেখাবে এবং জাতির মর্যাদাকে সমুন্নত রাখবে।