আল-কায়েদার প্রয়াত প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে ওমর বিন লাদেনকে ফ্রান্স ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এ নির্দেশনার কথা জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক মন্তব্যের জের ধরে তাকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৪৩ বছর বয়সী ওমর বিন লাদেনের জন্ম সৌদি আরবে। তার শৈশবকাল সেখানেই কেটেছে। এরপর তিনি সুদান ও আফগানিস্তানে ছিলেন। ১৯ বছর বয়সে বাবা ওসামা বিন লাদেনকে ছেড়ে যান তিনি। ছবি আঁকার জন্য তিনি ২০১৬ সাল থেকে উত্তর ফ্রান্সের নরম্যান্ডি এলাকায় বসবাস শুরু করেন।
২০১১ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর এক অভিযানে নিহত হন ওসামা বিন লাদেন। সৌদি আরবের ধনকুবের পিতার সন্তান ওসামা বিন লাদেনের ২০ জনের বেশি সন্তান ছিল।
ফ্রান্সের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রিটেইললেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, ওমর বিন লাদেন একজন ব্রিটিশ নাগরিকের স্বামী হিসেবে নরম্যান্ডি অঞ্চলের ওরনি ডিপার্টমেন্টে থাকতেন। আল কায়েদা নেতার ছেলে গত বছর সন্ত্রাসবাদের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ফ্রান্স ছাড়ার আদেশ জারি করেন ওরনের প্রশাসনিক প্রধান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ওমর ‘যেন কোনোভাবেই ফ্রান্সে ফিরতে না পারেন’, সেই আদেশে সই করেছেন। তবে তিনি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। ওমর বিন লাদেন এরই মধ্যে ফ্রান্স ছেড়েছেন কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
ওমর বিন লাদেন তার চেয়ে অন্তত ২০ বছরের বড় ব্রিটিশ নারী জেন ফেলিক্স ব্রাউনিকে বিয়ে করেন। ২০০৭ সালে বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে আগ্রহ তৈরি হয়। বিয়ের পর জেন তার নাম পাল্টে মুসলিম নাম জেইনা মোহাম্মেদ নেন। এরপর ওমর বিন লাদেন যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে চাইলেও দেশটি তার আবেদন বাতিল করে দেয়।


