ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. মাসুদ পেজেশকিয়ান গতরাতে (সোমবার রাতে) সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বৈঠকে উত্থাপিত বেশিরভাগ বিষয়ই ছিল দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কিত।
তিনি আরও বলেন, সরকার যে বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সেগুলোকে নিয়ে কথা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন বিশেষকরে ট্রানজিট রুট, গ্যাস নেটওয়ার্ক, রেল নেটওয়ার্ক এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। চীনের সাথে সহযোগিতার বৃদ্ধির পাশাপাশি কৌশলগত সহযোগিতায় আগ্রহী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।
পেজেশকিয়ান বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবেশী এবং অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে এবং সর্বোচ্চ নেতা এসব সুপরিকল্পনা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে জনগণের উপর নিষেধাজ্ঞার চাপ কমবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও জানান, প্রতিবেশী দেশসহ মাত্র কয়েকটি দেশের মধ্যেই ইরানের সহযোগিতার ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ নয় বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে পারস্পরিক সম্মান, প্রজ্ঞা ও স্বার্থের নীতির ভিত্তিতে আলোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি ও সমঝোতাগুলো বাস্তবায়িত হলে তা বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আগামী ফার্সি অর্থ বছরের বাজেট সম্পর্কে তিনি বলেনে, আগামী বছরের বাজেটে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর ওপর করের বোঝা কমিয়ে এনে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও স্বাস্থ্য, শিক্ষা এমনকি মৌলিক পণ্য খাতে জনগণ বিশেষকরে নিম্ন আয়ের মানুষের প্রতি সরকারের সহায়তা বৃদ্ধি করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আগামী বছরের বাজেট সংসদে পেশ করা হবে বলে জানান ড. পেজেশকিয়ান। বাজেট ইস্যুতে মন্ত্রিপরিষদ প্রতিদিন একাধিক বৈঠকে বসছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পার্সটুডে