কানেকটিকাটের একজন ব্যক্তিকে ১৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের ওই বাসিন্দা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর কাঠগড়ায় তুলেছিলেন সংস্থাটিকে। ওই ব্যক্তির নাম প্লেনটিফ ইভান প্লটকিন। ২০২১ সালে তার মেসোথেলিওমা ধরা পড়ে। এটি একটি বিরলগোত্রীয় ক্যানসার। মরণরোগে আক্রাম্ত হওয়ার পর প্লটকিন অভিযোগ করেন, জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারের কারণেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। কানেকটিকাট সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক এবার সেই মামলায় সংস্থাকে বিপুল অঙ্কের জরিমানা করার পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছেন, অতিরিক্ত জরিমানাও গুনতে হবে তাদের। তবে সেই জরিমানার অঙ্ক পরে জানানো হবে।
জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার মামলাজনিত ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিক হাস এক বিবৃতিতে বলেন, এই মামলায় বিচারকের ‘ভুল’ রায়ের বিরুদ্ধে সংস্থা আপিল করবে। এই রায়ের সাথে কয়েক দশকের স্বাধীন বৈজ্ঞানিক মূল্যায়নের মিল নেই যা নিশ্চিত করে যে ট্যালকমটি নিরাপদ, এতে অ্যাসবেস্টস নেই এবং ক্যান্সার সৃষ্টি করে না। '
১৮৯৪ সাল থেকে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডার বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এক শতাব্দী ধরে এই পণ্য তারা প্রস্তুত করে আসছে। কিন্তু আমেরিকার ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ুর ক্যানসারের জন্য ওই সংস্থাকে দায়ি করে মামলা দায়ের করার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে ক্রমেই কমতে শুরু করে পাউডারটির চাহিদা। সেই থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই প্রতিকূল হয়েছে। এবার ফের বড় অঙ্কের জরিমানার মুখে পড়ায় অস্বস্তি যে আরও বাড়লো তা নিশ্চিত। এখনও পর্যন্ত ৬২ হাজার মামলা দায়ের হয়েছে সংস্থার পাউডারের কারণে, যার বেশিরভাগই ওভারিয়ান ও অন্যান্য গাইনোলজিক্যাল ক্যানসারের মামলা।
ইতিমধ্যেই প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছে সংস্থাটিকে। জনসন অ্যান্ড জনসন ২০২০ সালে মার্কিন বাজার থেকে তার ট্যাল্ক-ভিত্তিক পণ্যগুলি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।