আফ্রিকার ও ক্যারিবিয় অঞ্চলের দেশগুলো এমন একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে যাতে দাস ব্যবসা নিয়ে ব্রিটেনের ঐতিহাসিক ভূমিকার কারণে দেশটিকে ১৮ ট্রিলিয়ন পাউন্ড জরিমানার শিকার করা যায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এশিয়া, আফ্রিকা ও ক্যারিবিয় অঞ্চলের সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশভুক্ত বহু দেশ এমন কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে যাতে ব্রিটেনের অতীত আধিপত্য ও লুণ্ঠনের বিষয়ে মামলা দায়ের করা যায়। বিশেষ করে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ও  'কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনও মূল্যবান' শীর্ষক আন্দোলনসহ সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী আন্দোলনগুলো জোরদারের প্রেক্ষাপটে এইসব প্রচেষ্টা নতুন করে উদ্দীপ্ত হচ্ছে। 

সম্প্রতি কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশের নেতৃবৃন্দ গত সপ্তায় সামওয়াতে ব্রিটেনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে অর্থপূর্ণ, খোলামেলা ও সম্মানজনক আলোচনায় মিলিত হয়েছেন। তারা এ বিষয়ে এক পৃথক বিবৃতি দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু লন্ডনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড় আলোচনার পর তারা আপাতত এই সম্মেলনের সমাপনী বিবৃতিতে এ সংক্রান্ত একটি ধারা বা অনুচ্ছেদ যোগ করাকেই যথেষ্ট মনে করছেন।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সামোয়াতে বলেছেন, দাসপ্রথার ইতিহাসের বিষয়ে সম্মেলনে শরিকদের শক্তিশালী অনুভূতির বিষয়টি তিনি অনুভব করছেন, কিন্তু বাস্তবতা মেনে নেয়া উচিত ও অভিন্ন অতীত অতিক্রম করা উচিত।

ব্রিটেন এ পর্যন্ত দাসপ্রথার বিষয়ে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবিগুলো প্রতিরোধ করে আসছে এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরও সামোয়া সম্মেলনের আগে বলেছেন যে, ক্ষতিপূরণের বিষয়টি অ্যাজেন্ডায় নেই। 

news