এই অধ্যাপকের পদ্ধতিটি ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ ১০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যে ৯টিতে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করা একজন ইতিহাসের অধ্যাপকের বিশ্বাস হোয়াইট হাউজে যাওয়ার চাবিটি যাবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের হাতে।
তবে জনমত জরিপগুলোতে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হ্যারিসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে।
কিন্তু অধ্যাপক অ্যালেন লিকম্যানের পদ্ধতি যাকে ‘হোয়াইট হাউজের চাবি’ বলা হয় তাতে জরিপের তোয়াক্কা করা হয় না। তার বদলে কে হতে পারেন সফল প্রার্থী তা বের করতে সংগ্রহ করা তথ্যগুলো ১৩টি মেট্রিক্স প্রয়োগের মাধ্যমে যাচাই করা হয়।
সিএনএনকে প্রফেসর লিকম্যান বলেন, “কেন আমি নিশ্চিত যে হ্যারিস জিততে যাচ্ছেন? কারণ জরিপ শুধু সম্ভাবনার কথা বলে আর আমার পদ্ধতি জরিপ উপেক্ষা করে।”
২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের জয়ের সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করা এই অধ্যাপক জরিপগুলোকে ‘তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করা’ বর্ণনা করে বলেন, “জনগণ জরিপকারীদের প্রশ্নে সাড়া দেয় না, তারা মিথ্যা বলে, তারা তাদের মন পরিবর্তন করে আর সম্ভাব্য ভোটার কারা তা তাদের অনুমান করতে হয়।”
অধ্যাপক লিকম্যান ১৯৮০ দশকে রুশ ভূতত্ত্ববিদ ভ্লাদিমির কিলিস-বোরাকের সঙ্গে মিলে পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেন। তার এই পদ্ধতিতে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দলের ওপর চোখ রেখে ১৩টি সত্য-মিথ্যা বিবৃতির মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করা হয়।
যদি এগুলোর মধ্যে ছয়টি বা তারও বেশি বিবৃতি মিথ্যা হয়, তাহলে বিরোধীদলীয় প্রার্থী- এই ক্ষেত্রে জনাব ট্রাম্প- জয় পাবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়।
লিকম্যানের পদ্ধতি এখন দেখাচ্ছে ১৩টি বিবৃতি বা চাবির মধ্যে আটটি হ্যারিসের পক্ষে আর তিনটি তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষে আছে।
শুধু ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অধ্যাপক লিকম্যানের এই পদ্ধতি সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেনি। সেবার ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে পাঁচটি বিবৃতি মিথ্যা হয়েছিল, তাই লিকম্যানের অনুমান ছিল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর জয়ী হবেন।
গোর পপুলার ভোটে জিতলেও নির্বাচনের ৩৬ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশকে জয়ী ঘোষণা করেন।