অনানুষ্ঠানিক ফলে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। ১লা নভেম্বর টুইটে এমন আভাস দিয়েছেন উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান।

তিনি ওই টুইটে আরও বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমি বলেছি, (শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ক্ষমতায় আসায়) গতি পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক। এই সম্পর্ক বর্তমানে যে পথে আছে যদি যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরেন তাহলে তা টিকিয়ে রাখা কঠিন হতে পারে। 

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন তা এক্সে পোস্ট করে এই মন্তব্য করেন কুগেলম্যান। তিনি ট্রাম্পের ওই মন্তব্য সম্পর্কে বলেন, এতে নয়াদিল্লির অবস্থানের প্রতিফলন ঘটেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন এই মন্তব্যকে অনুমোদন দেয়নি। একই দিনে একই প্রসঙ্গে আলাদা এক এক্স পোস্টে ট্রাম্পের ওই মন্তব্য সম্পর্কে কুগেলম্যান বলেন, এই মন্তব্যকে ইলেক্টোরাল রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত। নীতিগত প্রভাব উপেক্ষা করা যায় না। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার (ট্রাম্পের) এ মন্তব্যকে ভালোভাবে নেবে না। অতীতে ডনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন ড. ইউনূস। 

৩১শে অক্টোবর আরেকটি টুইট করেন কুগেলম্যান। সেখানে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে তিন মাস অতিবাহিত করেছে। তারা উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য স্থির করেছে। জনগণের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা তাদের কাছে। জনগণ খুব বেশি করে অবস্থার উন্নতি এবং দ্রুততার সঙ্গে তা চায়। ৩রা নভেম্বর করা পোস্টে তিনি বাংলাদেশকে একটি ‘আউটলায়ার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বলেন, এটি দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি দেশ, যেখানে নির্বাচনের ফল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে এবং সম্ভবত ক্ষতিকরভাবে প্রভাবিত হতে পারে।

news