যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দিনই তিনটি দেশের ওপর বড় ধরনের ট্যাক্স আরোপ করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের রোষানলে পড়তে যাওয়া দেশ তিনটি হলো মেক্সিকো, কানাডা ও চীন। এদের মধ্যে মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ট্যাক্স (শুল্ক) আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ সীমান্ত পারাপার ও মাদক চোরাচালানের জবাবে এই ট্যাক্স আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর আলজাজিরার।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্যাক্স আরোপের এ ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ঘোষণা অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসী ও মাদকের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তার এই পদক্ষেপগুলো বলবৎ থাকবে।
ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্প লিখেছেন, মেক্সিকো ও কানাডা—দুই দেশেরই অবৈধ অভিবাসী সংক্রান্ত এই দীর্ঘদিনের সমস্যা সহজেই সমাধান করার পূর্ণ অধিকার ও ক্ষমতা রয়েছে। আমরা তাদের কাছে এই ক্ষমতা ব্যবহারের দাবি করছি এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা তা করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বড় মূল্য দিতে হবে।
পরবর্তীতে আরেক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লিখেমন, যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল চোরাচালান বন্ধে পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের শুল্ক ছাড়াও চীনের ওপর আরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শিগগিরই হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন হওতে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। নিজের মন্ত্রিসভা গোছানোর কাজটাও সেরে ফেলেছেন এরই মধ্যে। আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। এদিনই হোয়াইট হাউসের গদিতে বসবেন তিনি।
এবারের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই সব চীনা পণ্য আমদানির ওপর ৬০ শতাংশ বা তার বেশি শুল্ক আরোপ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত যানবাহনের ওপর এক হাজার শতাংশ বা তারও বেশি শুল্ক আরোপের কথা বলেছিলেন তিনি।