পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব) এই মামলার তদন্তে যুক্ত ছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে যে, আল কাদির ট্রাস্টের নির্মীয়মাণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেআইনিভাবে ১৯ কোটি ডলার (প্রায় ১৬৪৫ কোটি ভারতীয় টাকা) তছরুপ করা হয়েছে।  

ইমরান খান বর্তমানে আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন। রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে বুশরাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আদালত ইমরানকে ১০ লক্ষ এবং বুশরাকে ৫ লক্ষ পাকিস্তানি রুপি জরিমানাও করেছেন।  

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতারকে অবৈধ বলেছিলেন। এরপর লাহোর হাই কোর্ট ইমরানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেও রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক মামলার কারণে তিনি জেল থেকে মুক্তি পাননি।  

মামলার ইতিহাসে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ১ মে ন্যাব ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। এরপর পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনী তাকে আদালত চত্বর থেকেই গ্রেফতার করে।  

ইমরান ও বুশরার বিরুদ্ধে এই মামলার অভিযোগ বহুদিন ধরেই তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। ভিডিও বিশ্লেষণ, নথি ও অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন। এই ঘটনার ফলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। 

news