বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত এখন বাংলাদেশের বাস্তবতা বুঝতে শুরু করেছে। তবে, শেখ হাসিনার বিষয়ে ভারতের অবস্থান বদলাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি ওমানের মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠককে ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যৌথ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হতে পারে।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গ এবং সীমান্ত হত্যার ইস্যু নিয়ে দুই দেশই কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে।

তবে, ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. ইউনূস নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনে দুই দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকের মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের পথ খুঁজতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ। এরপর ডিসেম্বরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকা সফর করেন।

সর্বশেষ, ১৬ ফেব্রুয়ারি মাস্কাটে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের কূটনৈতিক নেতারা পারস্পরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়ে একমত হন। গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি নবায়ন, সীমান্ত নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্কের বরফ গলতে পারে। তবে, শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এখনো একটি বড় অনিশ্চয়তা হিসেবে রয়েছে।

news