যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে সামরিক প্লেন ব্যবহারের কার্যক্রম স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মতে, এই পদক্ষেপ নেওয়ার কারণ ছিল উচ্চ ব্যয় এবং কার্যকারিতার অভাব। গত ১ মার্চ শেষ সামরিক ফ্লাইটটি পরিচালিত হওয়ার পর, আর কোনো নতুন ফ্লাইট নির্ধারিত হয়নি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি অনুযায়ী, সামরিক প্লেন ব্যবহার করা হয়েছিল মূলত অভিবাসন দমন কার্যক্রমের কঠোর বার্তা দেওয়ার জন্য। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, “যদি আপনি আইন ভঙ্গ করেন, বা অপরাধী হন, তাহলে আপনি গুয়ান্তানামো বে-তে পৌঁছাতে পারেন… সেখানে কেউ থাকতে চাইবে না।” এর পর, সি-১৭ ও সি-১৩০ সামরিক প্লেন ব্যবহার করে প্রায় ৪২টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। তবে এসব ফ্লাইটের খরচ ছিল অত্যধিক বেশি। ভারতে অবৈধ অভিবাসী ফেরত পাঠাতে একেকটি ফ্লাইটে ৩০ লাখ ডলার খরচ হয়েছে এবং গুয়ান্তানামো বে-র কিছু ফ্লাইটে প্রতি অভিবাসীর জন্য ২০ হাজার ডলার খরচ হয়েছিল।
তুলনামূলকভাবে, বেসামরিক প্লেন ব্যবহার করে যে ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হয়েছে, সেগুলোর খরচ ঘণ্টাপ্রতি ৮ হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার ডলার হয়। সেখানে সামরিক প্লেনের খরচ ২৮ হাজার ৫০০ ডলার ছিল। এর পাশাপাশি, মেক্সিকোর আকাশসীমায় সামরিক প্লেনের প্রবেশে বিধিনিষেধ থাকার কারণে ভ্রমণ এবং ব্যয় আরও বাড়ে।
কিছু লাতিন আমেরিকান দেশ সামরিক প্লেনে বহিষ্কৃত অভিবাসীদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বিশেষত, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গত জানুয়ারিতে দুটি সামরিক ফ্লাইটের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন, যার ফলে মার্কিন প্রশাসন শুল্ক আরোপের হুমকি দেয়। তবে পরবর্তীতে, কলম্বিয়া তাদের নিজস্ব বেসামরিক প্লেন ব্যবহার করে অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামরিক প্লেন ব্যবহারের স্থগিতাদেশ দীর্ঘায়িত বা স্থায়ী হতে পারে, তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।


