তুরস্কে চলমান বিক্ষোভ ক্রমেই রূপ নিচ্ছে সরকারবিরোধী আন্দোলনে। বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) চেয়ারম্যান ওজগুর ওজেল ঘোষণা দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এগিয়ে না আনা হলে এবং কারাবন্দী ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে মুক্তি না দেওয়া হলে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলবে। ইতোমধ্যে ইস্তাম্বুলে ব্যাপক সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে, যা ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলুকে শক্তিশালী করার কৌশল হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। রাজপথে নেমে তাঁরা সরকার পতনের দাবিতে স্লোগান দেন। তাঁদের হাতে থাকা ব্যানার ও ফেস্টুনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের পদত্যাগের আহ্বান ছিল। একইসঙ্গে রাজধানী আঙ্কারাসহ অন্যান্য বড় শহরেও লাখো মানুষ প্রতিবাদে সামিল হয়েছে।
বিক্ষোভ দমাতে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১,৫০০-এর বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপির আলোকচিত্রী ইয়াসিন আকগুলসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহল তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ইমামোগলুকে এরদোয়ানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে। ১৯৯০-এর দশকে জনপ্রিয় মেয়র থাকার সময় এরদোয়ানও কারাবন্দী হয়েছিলেন, সেই ইতিহাস আজ নতুন করে ফিরে আসছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আন্দোলন এরদোয়ানের জন্য বড় রাজনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের কঠোর বার্তা দিয়েছেন এরদোয়ান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তাদের জন্য তুরস্কে কোনো জায়গা নেই। তবে তার এই বক্তব্যেও আন্দোলন থামছে না, বরং আরও জোরালো হচ্ছে।


