যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গাজা স্ট্রিপে গত ১৮ বছরে (২০০৭ সালের ১ জানুয়ারির পর থেকে) ভ্রমণকারী সকল ভিসা আবেদনকারীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন। রয়টার্সের হাতে পাওয়া একটি অভ্যন্তরীণ কেবলে এই তথ্য জানা গেছে। এই স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ায় আছেন সরকারি/কূটনৈতিক কাজে গাজায় গমনকারী ছাত্র, পর্যটক, এনজিও কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকসহ সকল ইমিগ্র্যান্ট ও নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা আবেদনকারী।
কেবলে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া পর্যালোচনায় যদি "নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোন নেতিবাচক তথ্য" পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে আন্তঃসংস্থা তদন্তের জন্য পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে যাচাই করা হবে তারা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে কিনা।
রুবিও ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, এ বছর শুরুতে এখন পর্যন্ত ৩০০'র বেশি ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজা যুদ্ধের সমালোচনা করা অনেক ছাত্র ভিসাধারীও রয়েছেন, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ভিসা স্ট্যাটাস নির্বিশেষে সকলের বাকস্বাধীনতা রক্ষা করে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই ছাত্রদের কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
গত ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ক্যাম্পাসগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প এখন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে লড়াইয়ে নামেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী নীতি পরিবর্তনে অস্বীকৃতি জানালে ট্রাম্প তাদের ২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল জব্দ করেছেন।
এই নীতিমালার মধ্যে রয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অ্যাফারমেটিভ অ্যাকশন বাতিল, "আমেরিকান মূল্যবোধ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ" ছাত্রদের স্ক্রিনিং এবং ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিরোধিতার মোকাবেলা করা। গত সপ্তাহে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট সতর্ক করে বলেছে, হার্ভার্ডের "চরমপন্থী আদর্শ" এবং "ইহুদি-বিরোধী ঘৃণা ছড়ানো বিদেশি ভিসাধারী দাঙ্গাকারী ও শিক্ষকদের" সমর্থনের কারণে তারা আন্তর্জাতিক ছাত্রদের হোস্ট করার অযোগ্য হতে পারে।
এই পদক্ষেপগুলো গাজা সংঘাতকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বনাম জাতীয় নিরাপত্তার বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, ভিসা নীতিতে এই কঠোরতা মুসলিম ও আরব সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণেরই প্রতিফলন। খবর আলজাজিরার
#গাজা_যুদ্ধ #ভিসা_নীতি #যুক্তরাষ্ট্র #সোশ্যাল_মিডিয়া_স্ক্রিনিং #মার্কো_রুবিও


