বাথরুমে বসেই সিঙ্গারা ভাজত কর্মীরা! রমরমিয়ে চলছিল দোকান, শুনে গা গুলিয়ে উঠছে ক্রেতাদের
বাথরুমে বসে সিঙ্গারা, ভাজাভুজি সব তৈরি করা হয়েছে। একদিন দু’দিন নয়, টানা ৩০ বছর ধরে এমনভাবেই চলেছে দোকান। খোঁজ পেয়ে সেই স্ন্যাকসের কারবার বন্ধ করে দিল প্রশাসন (Saudi Arabia)। আর এমন জঘন্য কারবারের কথা জানাজানি হতেই তুলকালাম শুরু হয়েছে শহরজুড়ে।
সৌদি আরবের জেদ্দা শহরের একটি জনপ্রিয় খাবারের দোকানে এভাবেই সিঙ্গারা ও অন্যান্য জিনিস ভাজা হয়ে আসছিল। বাথরুমের মধ্যেই ছিল রান্নাঘর (Saudi Arabia)। সেখানেই গরম তেলে ভেজে তোলা হত গরম গরম সিঙ্গারা। কেউ জানতেও পারত না।
সম্প্রতি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেদ্দা শহরের পুরসভা থেকে লোকজন গিয়ে ওই রেস্তোরাঁর রান্নার জায়গায় ঢুঁ মারেন। তখনই ফাঁস হয়ে যায় আসল কথা। একটি বাড়ির বাথরুমের মধ্যেই যাবতীয় ভাজাভুজি তৈরি করা হত সেখানে। তা বিক্রিও হত। অভিযোগের প্রমাণ হাতেনাতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দোকান বন্ধ করে দেয় প্রশাসন (Saudi Arabia)। জানা গেছে প্রায় তিন দশক ধরে এমনভাবেই চলে আসছিল খাবারের দোকানটি। ন্যূনতম পরিচ্ছন্নতা সেখানে মেনে চলা হত না।
এখানেই শেষ নয়, প্রশাসন তদন্ত করে জানতে পেরেছে ওই খাবারের দোকানে বিভিন্ন খাবারের বৈধ তারিখ পর্যন্ত পেরিয়ে গেছে, তা দিয়েই খাবার তৈরি হত। কিছু কিছু প্যাকেটে আবার দু’বছরের পুরনো তারিখও রয়েছে। গোটা পরিবেশই ছিল মারাত্মক নোংরা। পোকামাকড়ের আস্তানা ছিল সেখানে।
এমন দোকান একেবারেই চলতে দেওয়া যায় না। ফলে তা তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে সৌদি আরবের জেদ্দা শহরেই আরও একটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ এভাবেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগে। সেসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। একইভাবে জেদ্দার এই খাবারের দোকানও বন্ধ করল সৌদি প্রশাসন।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে


