এবার কি চিন টুইটারকে নিয়ন্ত্রণ করবে? পরোক্ষে প্রশ্ন তুললেন জেফ বেজোস
‘একটা ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন আছে। টাউন স্কোয়ারে (China Twitter) কি চিনারা বেশি সুবিধা পাবে?’ মঙ্গলবার সকালে এমনই টুইট করেছেন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি জেফ বেজোস। সোমবার রাতে জানা যায়, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি ইলোন মাস্ক টুইটারের ১০০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছেন। সেজন্য তাঁর খরচ হয়েছেন ৪৪০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ওই অর্থের পরিমাণ সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার বেশি।
মাস্ক বলেছিলেন, টুইটার একটা টাউন স্কোয়ারের (China Twitter) মতো। সেখানে সকলেই খোলাখুলি মতপ্রকাশ করার অধিকার পাবেন। জেফ বেজোস তাই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘টাউন স্কোয়ারে’ চিনারা (China Twitter) বাড়তি সুবিধা পাবে কি? অর্থাৎ তিনি আশঙ্কা করছেন, এবার টুইটারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে চিন।
এই আশঙ্কার কারণ হিসাবে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা (China Twitter) বেজোস বলেন, মাস্কের সঙ্গে চিনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। পরপর কয়েকটি টুইট করে অ্যামাজন কর্তা বলেন, ইলোন মাস্ক যে ধরনের বিদ্যুৎচালিত গাড়ি তৈরি করেন, তার সবচেয়ে বড় বাজার আছে চিনেই। ওই দেশেই মাস্কের টেসলা প্রথম ওভারসিজ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্রে মাইক ফরসিথি নামে এক রিপোর্টারের প্রতিবেদন উল্লেখ করেছেন বেজোস। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনে টেসলার বিরাট বাজার আছে। চিন থেকে টেসলার বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ব্যাটারি আসে। ২০০৯ সালে চিন টুইটার নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। কারণ তারা কোনওভাবেই ওই মাইক্রোব্লগিং সাইটকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না। কিন্তু মাস্ক টুইটারের মালিক হওয়ায় অনেকের আশঙ্কা চিন সরকার হয়তো টুইটারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
বেজোস পরে অবশ্য লিখেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন না যে, এবার চিন টুইটারকে সেন্সর করতে পারবে। বরং মাস্ক টুইটারের মালিক হওয়ায় তাঁর সঙ্গে চিনের সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠতে পারে।খবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে