সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন

ওপেক প্লাসের পক্ষ থেকে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওপেক প্লাসের সদস্যদের মধ্যে সৌদি আরব হচ্ছে শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ।

গতকাল (মঙ্গলবার) মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন’র সঙ্গে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, "আমি মনে করি প্রেসিডেন্টের কাছে বিষয়টি খুবই পরিষ্কার যে, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক এমন পর্যায়ে গেছে যা পুনর্মূল্যায়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এবং নিশ্চিতভাবে ওপেকের এই সিদ্ধান্তের পর বাইডেন তাই করছেন।"

জন কিরবি জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো সংগঠন ওপেকের ১৩ সদস্য এবং এর বাইরের এগারোটি তেল উৎপাদনকারী দেশের জোট হচ্ছে ওপেক প্লাস। এই সংগঠনটি গত বুধবার মার্কিন চাপ উপেক্ষা করে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা আন্তর্জাতিক বাজারে মোট সরবরাহ করা তেলের শতকরা দুই ভাগ।

ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্তে আমেরিকা ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে। বাইডেন প্রশাসন মনে করছে, ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্তের কারণে আমেরিকার ভেতরে তেল এবং গ্যাসের দাম বেড়ে যাবে যা আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের জন্য মারাত্মকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া কয়েক দশক ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে আমেরিকার যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল যুদ্ধের সময় রাশিয়ার সঙ্গে মিলে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রেক্ষাপটে সেই সম্পর্কে টানা পড়েন পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।

এ অবস্থায় আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ পর্যায়ের অনেক রাজনীতিবিদ, সিনেটর ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে পরামর্শ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সৌদি আরব থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও সেনা প্রত্যাহার করার জন্য মার্কিন কংগ্রেসে বিল উত্থাপন করা হয়েছে।

খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news