যুবরাজ সলমনের আমলে ১ বছরেই দেড়শো প্রাণদণ্ড সৌদিতে!
সৌদির (Saudi Arabia) যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের আমলে সৌদি আরবে প্রাণদণ্ডের হার লাফিয়ে বেড়েছে। কেবল ২০২২ সালেই সেদেশে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছে ১৪৭ জনকে। এর মধ্যে গত বছরের মার্চেই দণ্ডিত হন ৮১ জন!
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের সময়কালে বছরে ১২৯ জনকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যা ২০১০ থেকে ২০১৪ সময়কালের থেকে ৮২ শতাংশ বেশি। দুই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ইউরোপিয়ান সৌদি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস’ ও ‘রিপ্রাইভ’ এই চাঞ্চল্যকর হিসেব দিয়েছে। ওই সংগঠনগুলির অভিযোগ, বৈষম্য ও অবিচারের ফলাফল হিসেবেই এই পরিমাণে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালেই সৌদির যুবরাজ হিসেবে অভিষেক হয় সলমন। আবদুল্লার প্রয়াণের পর তাঁর সৎ ভাই সলমন যুবরাজ হন।
পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে, এই ধরনের শাস্তি দিয়ে সৌদি যুবরাজ পরিষ্কার হুঁশিয়ারি দিতে চাইছেন তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও বিরোধীদের। কোনও ধরনের বিরোধিতাই যে বরদাস্ত করা হবে না, সেটাই বুঝি বার্তা যুবরাজের। এমনটাই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। যুবরাজ যদিও জানিয়েছিলেন, কেবল মাত্র খুনের মতো অপরাধের ক্ষেত্রেই প্রাণদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বহু ক্ষেত্রেই আচমকা প্রাণদণ্ড দেওয়া হচ্ছে অহিংস আন্দোলনে যুক্তদেরও। এক মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, সৌদির এক সাংবাদিককেও প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।
সৌদির যুবরাজ হওয়ার পর থেকেই চরম নীতি অবলম্বন করেছেন সলমন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ভাবে প্রাণদণ্ডকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করে চরম হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কার্যত ‘বিরোধীশূন্য’ পরিস্থিতি তৈরি করেছেন যুবরাজ। প্রথম থেকেই বিরোধীদের কড়া হাতে অবদমন করেছেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ভাবে প্রাণদণ্ডকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করে চরম হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তিনি। যা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে মানবাধিকার সংগঠনগুলির।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২৩/একে