রুশ গ্যাসের বিকল্প হিসেবে বায়োগ্যাস উৎপাদনে যাচ্ছে ফ্রান্স

কৃষি আবর্জনাকে ব্যবহার করে বায়োগ্যাস উৎপাদনে আগাচ্ছে ফ্রান্স। রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি বন্ধ করে বায়োগ্যাস উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। 

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলো যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে ফ্রান্স তা অনুসরণ করে দেশটি থেকে গ্যাস আমদানি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ১০ বছরের কম সময়ের মধ্যে ফ্রান্স কৃষি আবর্জনা থেকে বায়োগ্যাসপ্লান্টের মাধ্যমে গ্যাস উৎপাদনে এধরনের জালানির ওপর আমাদানি নির্ভরতা কমাকে। ফ্রান্স কৃষি বর্জ্য থেকে বায়োমিথেন উৎপাদন বাড়াতে চায়। 

ফরাসি কৃষকরা রুশ গ্যাস থেকে নিজেদের গ্যাস চাহিদা পূরণে নতুন জৈব জ্বালানী উৎপাদন সুবিধা চালুর পরিকল্পনা করছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদন বলছে, ছোট বায়োফুয়েল স্টেশনগুলি ইতিমধ্যে কয়েকশ বা হাজার হাজার পরিবারকে গ্যাস সরবরাহ করছে। তবে এধরনের 
বায়োগ্যাস রুশ গ্যাসের বিকল্প হিসেবে যোগানে পরিণত করার বিষয়টি বেশ সময়সাপেক্ষ। এরপরও ফ্রান্স ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর জৈব-মিথেন বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২১ সালে বায়ো-মিথেন ফরাসি জালানি শক্তির চাহিদার প্রায় ১ শতাংশ পূরণ করেছে এবং এই বছর কমপক্ষে তা ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস ২০৩০ সালের মধ্যে ফরাসি গ্যাস ব্যবহারের ২০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করতে পারে। এবং তা হলে ফ্রান্সের রাশিয়া থেকে গত বছর আমদানি করা গ্যাসের চেয়ে এর পরিমাণ বেশি হবে। 

জার্মান বায়োগ্যাস অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র আন্দ্রেয়া হরবেল্টের মতে, বায়ো-মিথেন উৎপাদন কয়েক বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হলেও তা সস্তা হবে না। অন্তত রুশ গ্যাসের চেয়ে অন্য যে কোনো উৎস থেকে গ্যাস আমদানি করতে হলে ফ্রান্সকে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুতের জন্য বায়োগ্যাস ব্যবহার করা সৌর এবং বায়ুর চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল, এবং সর্বদা তাই থাকবে। 

news