দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণ এবং রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে রাজনৈতিক সংস্কার জরুরি বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নির্বাচনপদ্ধতি, প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার করে জনগনের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে। সকল ক্ষেত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দলের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে উদার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে। শাসনব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে সংস্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিরুদ্ধমত প্রকাশ করা যাচ্ছে না। দুই-তৃতীয়াংশের বেশী আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনগণের মূল্যায়ন কমে গেছে। কিন্তু সরকারকে মনে রাখতে হবে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ থাকলে কোনো উন্নয়ন টেকসই হবে না।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি, সংবিধান থেকে ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের বিষয়ে সবাইকে ভাবতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নিবর্তনমূলক সব ধারা সংশোধন করা প্রয়োজন। প্রয়োজন গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অবসানের ঘটানো। ঋণখেলাপিসহ লুটপাটকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার পরিবর্তে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে রাষ্ট্র ভয়াবহ বিপয়য়ের মধ্যে পড়বে।
লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত না হলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় না, আর সে কারণেই প্রতিষ্ঠিত হয় না মানবাধিকার। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশায় দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জাসদ উপদেষ্টা এনামুজ্জামান চৌধুরী, দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থি মোফাক্কারুল ইসলাম পেলাব, ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, প্রচার সম্পাদক বাদল দাস, সম্পাদক আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।