ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ক্রিকেট ম্যাচ বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনার সৃষ্টি করে। তবে গত এক দশক ধরে টুর্নামেন্ট ছাড়া এই দুই দলের মুখোমুখি লড়াই হয়নি। সর্বশেষ ২০১২-১৩ সালে তারা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিল। এরপর থেকে শুধুমাত্র আইসিসি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) টুর্নামেন্টেই দেখা গেছে দুই দলকে।  

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার রাজনৈতিক বৈরিতা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের প্রধান বাধা। ২০০৮ সালে ভারত সর্বশেষ পাকিস্তান সফর করেছিল, আর ২০১২-১৩ সালে পাকিস্তান ভারত সফর করেছিল। এরপর থেকে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড আলোচনা চালালেও রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে কোনো সমাধান আসেনি।  

এই অচলাবস্থা কাটাতে একটি সম্ভাব্য পথ দেখিয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনিল গাভাস্কার। সম্প্রতি ডিপি ওয়ার্ল্ড ড্রেসিংরুম শো-তে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম, ইউনিস খান এবং ভারতের অজয় জাদেজা ও নিখিল চোপড়ার সঙ্গে আলোচনায় গাভাস্কার বলেন, "সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা গেলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের পথ সুগম হবে।"  

গাভাস্কার বলেন, "সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। এটি খুবই সহজ। যদি সীমান্তে শান্তি থাকে, তাহলে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করতে পারবে এবং ক্রিকেটীয় সম্পর্ক পুনঃস্থাপন সম্ভব হবে।" তিনি আরও যোগ করেন, "ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডগুলো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মাঠের ভেতরে ও বাইরে কী ঘটছে, তা বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।"  

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ক্রিকেট ম্যাচ শুধু খেলা নয়, এটি দুই দেশের কোটি কোটি সমর্থকের জন্য উৎসবের মতো। তবে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে গত এক দশক ধরে সেই উৎসব থেকে বঞ্চিত রয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। গাভাস্কারের পরামর্শ বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে হয়তো দুই দেশের ক্রিকেট ভক্তরা আবারও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ উপভোগ করতে পারবেন।  

গাভাস্কারের এই প্রস্তাব ক্রিকেট বিশ্বে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নতি হলে ক্রিকেটীয় সম্পর্কও পুনরুজ্জীবিত হতে পারে, যা বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য একটি বড় অর্জন হবে।

news