ভারতের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকর্মীদের জটলা। অপেক্ষা এক বিশেষ খেলোয়াড়ের জন্য—হামজা চৌধুরী। সুনীল ছেত্রী, লিস্টন কোলাসোরা হতাশ মুখে মাঠ ছাড়লেও হামজাকে নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরের আবহ ছিল ইতিবাচক।
"আমরা জিততে পারতাম, কিন্তু..."

ম্যাচের পর হামজার প্রতিক্রিয়া জানতে সাংবাদিকদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। প্রশ্নবানে জর্জরিত হলেও তিনি হাসিমুখেই উত্তর দিলেন। ম্যাচে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি। এ নিয়ে আক্ষেপ আছে কিনা?

২৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার বললেন, “আমরা আজ জিততে পারতাম। কিন্তু ফুটবলে সুযোগ মিস হতেই পারে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও এমন হয়। আমাদের জন্য এটা কেবল একটা বাজে দিন।”
আক্রমণাত্মক শুরু, কিন্তু শেষটা হতাশার

বাংলাদেশ ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। মজিবুর রহমান জনি, মোহাম্মদ হৃদয়, শাহরিয়ার ইমনরা একাধিক সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। হামজারও ছিল সেই না জেতার আক্ষেপ।

তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন হামজা চৌধুরী। লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। নিখুঁত পাসিং, শক্তিশালী ট্যাকল এবং প্রতিপক্ষের আক্রমণ থামিয়ে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
"এই দলের সঙ্গে দুর্দান্ত সময় কাটল"

ম্যাচ না জিতলেও বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছে, আর হামজা নিজের অভিষেক নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, “আমি খুবই গর্বিত। গত পাঁচদিন দলের সঙ্গে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি।”

বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন তারকা হয়ে উঠছেন হামজা, আর এই ম্যাচ ছিল তার আত্মপ্রকাশের মঞ্চ!

news