আমরা অবশ্যই দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবো: রোহিত শর্মা

অনেক কষ্টে হলেও বাংলাদেশ তো জিতেছে ভারতের বিরুদ্ধে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি জেতার পর সাফল্যের পাল্লা ভারী সাকিব-মিরাজদের। এবার সিরিজ জয়ের ম্যাচ স্বাগতিকদের সামনে। কিন্তু প্রথম ম্যাচ হেরেও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বেশ কয়েকবার লিখেছে ভারত। সেটাও মনে রাখতে হবে টাইগার সেনাদের।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। দুপুর ১২টায় খেলা শুরু হবে।

এই ম্যাচ জিতে গেলে বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে যাবে। শক্তিশালী ভারতের বিরুদ্ধে এই লক্ষ্যটা অর্জন কতোটা সম্ভব, এই প্রশ্নই যেনো ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে।

ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে স্মরণীয় জয়ের ঘোরে টাইগাররা। বুধবার আরেকটি ম্যাচ, যেটি হয়ে উঠতে পারে সিরিজ নির্ধারণী। জয়ের উল্লাস কিংবা পরাজয়ের হতাশা, কোনোটিকেই খুব বেশি সময় সঙ্গী করার বাস্তবতা নেই। তৈরি হতে হবে নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য।

প্রথম ম্যাচের জয়টা এমনভাবে এসেছে, তাতে আড়ালে পড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে অনেক কিছুই। মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা আর ৮ রানে ৫ উইকেটের সেই ধস যেমন।

পরের ম্যাচেও যদি হয় পুনরাবৃত্তি, তাহলে কমে যাবে সিরিজ জেতার সম্ভাবনা, বাড়বে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা। সাম্প্রতিক সময়ে যা বেশ কয়েকবার করে দেখিয়েছে ভারতীয়রা। তাই ভুল শুধরে দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ নিজেদের করতে ঝাপিয়ে পড়ার বিকল্প নেই বাংলাদেশ দলের।

প্রথম ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমানদের বীরত্বে মনে রাখার মতো এক জয় পায় বাংলাদেশ। টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ১৩৬ রানে ৯ উইকেট পড়লেও অবিচ্ছিন্ন ৫১ রানের শেষ জুটিতে দলকে সিরিজে এগিয়ে দেন ওই দুজন।

এদিকে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা মঙ্গলবার অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের বলেন, সিরিজ জেতার লক্ষ্যে আমাদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। এক কথায় আমরা সিরিজ চাই।

ওয়ানডে সংস্করণে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচের সিরিজ ২০টি জিতেছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে আর একটি ম্যাচ জিতলেই সংখ্যাটি বাড়বে আরেকধাপ।

তিন ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ হেরেছে ৩৮টি। ঘরের মাঠে ২০০৮ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।

কিউইদের বিপক্ষে যে কোনো সংস্করণে সেটিই ছিল তাদের প্রথম জয়।

এনবিএস/ওডে/সি

news