সিরিয়ার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় কলেরায় ২ জনের মৃত্যু
সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সেখানে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অঞ্চলটিতে কর্মরত জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মীরা এ কথা জানিয়েছেন।
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এ অঞ্চলে গত বছর কলেরা দেখা দেয়। এতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২। মারাত্মক আক্রান্ত হয়েছে আরো ৫৬৮ জন। সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী মঙ্গলবার এক টুইটে এ কথা জানায়। এ বাহিনী হোয়াইট হেলমেট নামে পরিচিত।
তারা জানায়, ভূমিকম্পে অবকাঠামো, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন লাইন ধ্বংস হওয়ার ফলে কলেরা ও অন্যন্য রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভূমিকম্পে উদ্বাস্তু শিবিরগুলোর অবস্থারও অবনতি ঘটেছে। সেখানে আগে থেকেই বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা বিরাজ করছে।
ত্রাণ কর্মী নূর কমোরোস আল-জাজিরাকে বলেন, এমনকি ভূমিকম্পের আগেও এসব শিবিরে ৬৩ শতাংশ যথাযথ পয়ঃপ্রণালীর ব্যবস্থা ও ৪৩ শতাংশের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে অভাব ছিল। তিনি বলেন, “হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভূমিকম্পে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দানে হিমশিম খাচ্ছেন। অর্থ সংকট তাদের কাজকে বাধাগ্রস্ত করছে। জাতিসংঘের সাহায্য ধীরগতিতে আসছে। চিকিৎসা সেবা দানের প্রতি যেমন গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ তেমনটি দেওয়া যাচ্ছে না।”
৬ ফেব্রুয়ারির প্রলয়ংকরি ভূমিকম্পে সিরিয়ার এ অঞ্চলে ২০ হাজারেরও বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তারা এনজিওগুলোর দেয়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করছে। লোকে গিজ গিজ করা কেন্দ্রগুলোতে যে পরিবেশ বিরাজ করছে তাতে রোগ, বিশেষ করে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার মারাত্মক আশংকা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গত সপ্তাহে এক রিপোর্টে বলা হয়, দেশটিতে বিশুদ্ধ পানির তীব্র অভাব রয়েছে যা রোগ বিস্তারের পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটাচ্ছে। এতে বলা হয়, সিরিয়ার বর্ষাকাল অস্বাভাবিক শুষ্ক ও গরম। গত সেপ্টেম্বরে ফোরাত নদীর কাছে পানি দূষিত হয়ে পড়ায় কলেরা ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধবিক্ষত অ্ঞ্চলটিতে। সেই থেকে বিভিন্ন এলাকায় কলেরার প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।
এনবিএস/ওডে/সি