মালাবিতে ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা দু’শ ছাড়ালো
আফ্রিকার দেশ মালাবিতে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে নিহতের বেড়ে ২শ’ ছাড়িয়ে গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছেন আরও অনেক।
মালাবির দুর্যোগ ও ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার আেফ্রিকার ছোট দেশটিতে ২০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জেলায় দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়। উদ্ধারকর্মীরা কাদায় চাপা পড়া জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। ঝড়ের পর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে দেশটির বেশিরভাগ অংশে দীর্ঘস্থায়ী ব্ল্যাকআউটের মধ্যে পড়ে। অবিরাম বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাসের কারণে কিছু এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মোজাম্বিকে আঘাত হানার পর ঝড় মালাবিতে আঘাত হানে। মোজাম্বিকে ফ্রেডের আঘাতে অন্তত ১০ জন প্রাণ হারায়।
ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছে, এই দুর্যোগে মালাবিতে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। ফ্রেডি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো চলতি সপ্তাহে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল অতিক্রম করে। এর আগে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এ ঝড় প্রথমবার আঘাত হানে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ গোলার্ধে রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলোর মধ্যে ফ্রেডি অন্যতম।
ঝড় ও প্রবল বর্ষণে আবাসিক এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে মাটির দেয়াল দেওয়া বাড়িঘর। মালাবির বাণিজ্যিক কেন্দ্র, ব্লান্টার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করছে যে, এই ধ্বংসযজ্ঞ মালাবিতে কলেরার সংক্রমণ বেড়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র পিটার কালায়া বলেন, 'আমাদের নদীর পারি উপচে পড়ছে। পানিতে মানুষ ভাসছে, আমাদের বাড়িঘর ধসে পড়ছে।
মেডিকেল দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর ৪০টিরও বেশি শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
হাসপাতালগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, মর্গে মরদেহ রাখার জায়গা নেই। তাই দ্রুত স্বজনদের মৃতদের নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এনবিএস/ওডে/সি


