শ্রীলঙ্কায় ৩৮ রাজনীতিবিদের বাড়িঘরে আগুন
শ্রীলঙ্কার পুলিশ বলছে রাজনীতিবিদদের বাড়ি ঘর ছাড়াও বিক্ষোভকারীদের হামলায় আরো ৭৫টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব রাজনীতিবিদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জন এমপি।
১৯৪৮ সালের পর থেকে শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে। দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে ভুলভাবে দেশ পরিচালনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভ চলছে।
সোমবার থেকে সহিংসতায় কমপক্ষে আটজন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী সহ মন্ত্রী, এমপি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারাও জনগণের রোষানলে পড়েছে। পথ আটকে তাদের ওপর শারীরিক হামলার ঘটনা ঘটছে। একরাতেই বিক্ষোভকারীরা ৩৩ এমপির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে বেশ কিছু বেসরকারি সম্পত্তিও বিক্ষোভকারীদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বেছে বেছে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের বাড়ি-গাড়িতে হামলা চালাচ্ছে ক্ষুব্ধ মানুষ।
ক্ষমতাসীন দল শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পেরামুনার (এসএলপিপি) সংসদ সদস্য সনাথ নিশান্ত, জনক থিসা কুট্টিয়ারচ্চি, রোহিতা আবেগুনাবর্ধনে, আনুশা পাসকুয়াল, প্রসন্ন রানাতুঙ্গা, রমেশ পাথিরানা, শান্ত বান্দারা, কনাকা হেরাথ, অরুন্দিকা ফার্নান্দো, গামিনী লোকুগে, শেহান সেমাসিংহ, মহিপাল হেরাথ, প্রসন্ন রানাতুঙ্গা, ট্রেভিন ফার্নান্দো, বান্দুলা গুণবর্ধনে, রেণুকা পেরেরা, কেহেলিয়া রামবুকওয়েলা, কাঞ্চনা বিজেসেকারা, সিরিপাল গামলাথ, রোশন রানাসিংহ, নালাকা গোদাহেওয়া, ডুমিন্ডা দিসানায়েক ও আলী সাবরি রহিমের বাসভবনে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
এসএলপিপির আরেক এমপি জনস্টন ফার্নান্দোর মালিকানাধীন দুটি বাড়ি, একটি কারখানা ও একটি মদের দোকানে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সরকার দলীয় এমপি নিমল লাঞ্জার বাড়ির পাশাপাশি তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও হামলা চালানো হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে কুরুনেগালার মেয়র থুশারা সঞ্জিওয়া এবং মোরাতুয়ার মেয়র সমন লালের বাসভবনে।