সৌদি সফরে বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণকে স্বাগত জানালেন প্রেসিডেন্ট রাইসি
সৌদি বাদশাহ মোহাম্মদ বিন সালমান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে রিয়াদ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার এই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। ইরানের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে ইব্রাহিম রাইসিকে চিঠি দিয়েছেন বাদশাহ সালমান। চিঠিতে তাকে সৌদি আরব সফরেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি পুনরায় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে রাজি হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। এর অংশ হিসেবে দেশ দুইটি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দূতাবাস চালু করবে। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আলোচনার পর সৌদি আরব ও ইরান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী এ দু’টি দেশ নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মত হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ জানানো হলো।
চীনের মধ্যস্ততায় সম্প্রতি ইরান এবং সৌদি আরব সাত বছর পর আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে। এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাও শুরু হতে যাচ্ছে। দুই মাসের মধ্যে দু’দেশ পরস্পরের রাজধানীতে তাদের দূতাবাসও খুলবে। যা অঞ্চলটির ভূ-রাজনীতিকে নতুন মাত্রা এনে দিতে পারে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন, দুই দেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে এবং বৈঠকের তিনটি সম্ভাব্য স্থানের নামও প্রস্তাব করা হয়েছে। অবশ্য তিনি স্থানগুলোর নাম বলেননি এবং ঠিক কবে এই বৈঠক হতে পারে তাও বলেননি।
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান আরও বলেছেন, ইরান বাহরাইনের সাথেও সম্পর্ক উন্নত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। সৌদির ঘনিষ্ঠ মিত্র এই দেশটি ২০১৬ সালে রিয়াদকে অনুসরণ করে তেহরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। বাহরাইন অবশ্য ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এনবিএস/ওডে/সি


