প্রাক্তন পড়ুয়ার গুলিতেই প্রাণ গেল মার্কিন স্কুলের ৬ জনের! ছক কষেছিল বহুদিন ধরে
সোমবার সকালেই বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল ন্যাশভিলের একটি স্কুল (US school attack)। ২৮ বছর বয়সি স্কুলেরই এক প্রাক্তন পড়ুয়া অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে হামলা চালিয়েছিল স্কুলে। সেই ঘটনায় ৩ পড়ুয়া এবং স্কুলের ৩ কর্মীর মৃত্যুর হয়েছিল। পরে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় আততায়ীরও। সেই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, তার কাছ থেকে স্কুলের ম্যাপ এবং একটি ম্যানিফেস্টো উদ্ধার করা হয়েছে, যা থেকে স্পষ্ট অড্রে হ্যালে (Audrey Hale) নামে ওই প্রাক্তন পড়ুয়া রীতিমতো পরিকল্পনা করে হামলা চালিয়েছিল স্কুলটিতে। শুধু তাই নয়, স্কুল ছাড়াও আরও একাধিক জায়গায় হামলার পরিকল্পনা ছিল তার।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অড্রে একজন রূপান্তরকামী। প্রাথমিকভাবে লিঙ্গপরিচয়ে নারী হলেও লিঙ্গ পরিবর্তনের পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল সে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অড্রের কাছে স্কুলের প্রবেশ এবং বেরোনোর রাস্তা, নজরদারি ব্যবস্থার সমস্ত খুঁটিনাটি ছিল। শুধু তাই নয়, হামলার ঘটনার পর পুলিশ এবং আইনি পদক্ষেপ মোকাবিলা করার জন্যও প্রস্তুত ছিল হামলাকারী।
অন্য দিনের মতোই সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছিল স্কুলের পঠনপাঠন। সেই মতোই কনভেন্ট স্কুলটির পিছন দিকের দরজা দিয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে অড্রে। তার হাতে দুটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং একটি হ্যান্ডগান ছিল। সেই সময় ওই গেটে প্রহরায় ছিলেন দুজন নিরাপত্তাকর্মী। তাঁরা অড্রেকে চিনতে পারলেও হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখতে পাওয়া মাত্রই তাকে ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন। এরপর দুজনকেই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে হামলাকারী।
গুলি চালাতে চালাতেই ক্লাসে ঢুকে পড়ে অড্রে। তার গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩টি শিশুর। গুলিতে আহত হন স্কুলের আরও এক কর্মী। পরে মৃত্যু হয় তাঁরও। ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ আসার পরে তাঁদের সঙ্গেও গুলি-যুদ্ধ শুরু করে অড্রে। প্রায় ৩০-৪০ মিনিট রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর শেষমেশ পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয় তার।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অড্রে ন্যাশভিলেরই বাসিন্দা। ছোটবেলায় সে নিজেও ওই স্কুলেই পড়াশোনা করেছিল। পেশায় সে একজন গ্রাফিক-শিল্পী। কী কারণে সে নিজেরই পুরনো স্কুলে হামলা চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার সঙ্গে তাঁর লিঙ্গ পরিচয় বদলানোর কোনও সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবর দ্যা ওয়ালের /এনবিএস /২০২৩/একে


