৩ দিনের চীন সফরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
 

ইউক্রেন যুদ্ধ ও বাণিজ্যিক আলোচনাকে সামনে রেখে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চীন সফর করবেন। চীনের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি সমস্ত কূটনৈতিক নৈপুণ্য এবং রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। আলোচনায় বাণিজ্যিক ইস্যুগুলো থাকলেও কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ইউক্রেন যুদ্ধ। এপি

ম্যাক্রোঁ রাশিয়াকে অস্ত্র পাঠানোর নিয়ে চীনকে সতর্ক করবেন এবং এর পরিবর্তে দেশটিকে শান্তি প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য তার প্রভাব ব্যবহার করতে বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চীন বরাবরই নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি এই কথাও বলেছে যে রাশিয়ার সঙ্গে ‘বন্ধুত্বের কোনো সীমা নেই।’ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত মাসে মস্কোতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনা নাকচ করে দিয়েছে চীন। ফ্রান্সের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, চীনের অবস্থানকে বিন্দুমাত্রও নাড়াতে পারবে না ফ্রান্স। তবে ফ্রান্স চায় ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের সহায়তার জন্য চীন উদ্যোগ নিক। সেটাও হবে একটা সমাধান।

পুতিন সম্প্রতি বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে তারা একমত হলেও হতে পারেন। তবে কারো নাম উল্লেখ না করেই চীন বলেছে, এই ধরনের যে কোনো উদ্যোগের বিরুদ্ধে তারা।

ম্যাক্রোঁ চাইবেন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে চীনকেও যুক্ত করে নিতে। এই নিয়ে তিনি নিজ দেশে বড় ধরনের সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

এনবিএস/ওডে/সি

news