চীনের সামরিক মহড়ার নিন্দা তাইওয়ানের 

স্বশাসিত তাইওয়ানের চারদিক ঘেরাও করে চীনের তিনদিনের সামরিক মহড়া চালানোর নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছে, চীন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। 

চীনের এই মহড়া ছিল অনেকটাই ২৩ মিলিয়ন মানুষের ভূখণ্ড তাইওয়ানে হামলা চালানোর অনুকরণে। ১০ এপ্রিল তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আটটি চীনা জাহাজ মঙ্গলবার সকালে ‘তাইওয়ানের পার্শ্ববর্তী পানি’ এলাকায় ঘুরাফিরা করতে দেখা গেছে।

চীনের এই মহড়া শুরু হয় মধ্য আমেরিকা সফর শেষে প্রেসিডেন্ট সাইয়ের দেশে ফেরার পর। সফরের সময় তিনি দুই বার যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা বিরতি করেছেন। এ সময় তিনি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন। 

চীনের কাছে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত সাই বলেছেন, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে সফর একটি ‘দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন’ এবং তা তাইওয়ানের জনগণের কাছে প্রত্যাশিত। সোমবার রাতে তিনি নিজের পেইজ বুক পেইজে লিখেছেন, ‘এই সফরকে চীন সামরিক মহড়ার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেছে। এতে তাইওয়ান ও আশপাশের এলাকায় অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করা হয়েছে।’

বেইজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে এবং দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিতে শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেনি। তাইওয়ানের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আকাশসীমা আটকে দিয়ে বিমানগুলো মহড়া চালিয়েছে। চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অনুশীলনটি প্রকৃত যুদ্ধের পরিস্থিতিতে একাধিক সামরিক শাখার সমন্বিত যৌথ যুদ্ধ ক্ষমতা ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করেছে।’

গত বছরের আগস্টে মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর যে সামরিক তৎপরতা চালানো হয়েছিল তার মতো এই মহড়াটি একই মাত্রায় ছিল বলে মনে হয়নি। তবে জাপান সেই মহড়ার নিন্দা করেছিল। এর দক্ষিণতম দ্বীপগুলো তাইওয়ানের কাছাকাছি অবস্থিত এবং ওকিনাওয়াতে একটি মার্কিন বিমানঘাঁটি রয়েছে।

এনবিএস/ওডে/সি

news