মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত চীনের

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং মিয়ানমার প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে দেশটির রাজধানী নেপিডোতে সাক্ষাৎ করে দুই দেশের বন্ধুত্বের সুদৃঢ়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বন্ধুত্ব আরো বাড়ানোর প্রতিশ্রুতির কথা বলেছেন। অথচ সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে গত দুই বছর থেকেই ভয়াবহ সহিংসতা চলমান রয়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখলের পর চীনের কোনো উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা মিয়ানমার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।

বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান মিত্র চীন তাদেরকে অস্ত্র দিয়েও সহায়তা করছে। নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলকেও চীন কখনো নিন্দা জানায়নি।

সেনাবাহিনী অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরপরই দেশটিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু সেনাবাহিনী বিক্ষুব্ধ জনতাকে দমন করার চেষ্টা করে। দমনপীড়নের শিকার হয়ে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। এরপরই জনগণ সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু সেনাবাহিনী এখন আর সেটা সামাল দিতে পারছে না।

চীনের সম্প্রচার মাধ্যম সিজিটিএন বলেছে, মিনকে কিন বলেছেন মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বকে চীন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে এবং তারা দুই দেশের মধ্যে ‘ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব’র ব্যাপারে একমত হন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে কিন বলেছেন, ‘চীন মনে করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য তাদেরকে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে।’

মিয়ানমারের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত এমআরটিভি কিনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর শুধু বন্ধুত্বের বিষয়ই নয়, বিশ্বমঞ্চে মিয়ানমারের প্রতি চীনের অবস্থানকেও চিহ্নিত করে।

এনবিএস/ওডে/সি

news