ক্রেমলিনের পর রাশিয়ার তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা
বুধবার ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার পর একদিনের মধ্যেই একটি তেল শোধনাগার ও জ্বালানি তেলের ডিপোতে একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে কিছু জ্বালানি তেল নষ্ট হওয়া ব্যতীত হামলায় অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে রুশ গণমাধ্যম আরটি ও মস্কো টাইমস।
ক্রেমলিনে হামলার পরই রাশিয়ার কয়েকটি অঞ্চলে ড্রোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেন্ট পিটার্সবার্গ, মস্কো এবং লেলিনগ্রাদসহ আরো অনেকগুলো অঞ্চল ‘নো-ফ্লাই’ কার্যকর করেছে।
মস্কো টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাশিয়ার ক্রাসনোদার ও রোস্তভ অঞ্চলের তেল শোধানাগারে এই হামলা হয়। বার্তা সংস্থা তাস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, রাশিয়ায় এ পর্যন্ত যে ক’টি ড্রোন হামলা হয়েছে, তেল শোধানাগারের হামলা তারই ধারাবাহিকতা। ক্রেমলিন বলেছে, এসব ড্রোন হামলার মূল লক্ষ্য হলো প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা করা।
ক্রাসনোদা অঞ্চলের গভর্নর ভেনিয়ামিন খনদ্রায়েভ বলেন, শোধানাগারে আগুন ধরলেও তা দ্রুতই নিভিয়ে ফেলা হয়। রোস্তভ অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি গলুবেভ বলেছেন, খনিজ শহর নভোশাখটিনস্কের ড্রোন হামলাটিকে তেল শোধানাগারে আগুন ধরলেও তা বাড়তে পারেনি। তবে ড্রোন দু’টিতে মাঝারিমাত্রার বিস্ফোরক ছিল।
গত বেশ কিছুদিন ধরেই রাশিয়ার বিভিন্ন শহরের জ্বালানি তেলের ডিপো ও শোধনাগারগুলোতে ড্রোন হামলা হচ্ছে। রোস্তভে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় অপর শহর ক্রাসোন্দার একটি পেট্রোলের ডিপোতে একটি ড্রোন আছড়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপোল শহরের একটি জ্বালানি তেলের স্টেশনেও একই ঘটনা ঘটেছিল।
রুশ সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা আরটিকে জানিয়েছেন, অধিকাংশ হামলায় ক্যামিকাজি ড্রোনের ব্যবহার করছে হামলারকারীরা। বর্তমানে সামরিক ক্ষেত্রে যেসব ড্রোন ব্যবহার করা হয়, সেসবের মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক এই ক্যামিকাজি ড্রোন। দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে প্রায় নিখুঁতভাবে আঘাতের সক্ষমতার কারণে এই ড্রোনকে ক্ষেপণাস্ত্রের সমকক্ষ বলে মনে করা হয়।
এনবিএস/ওডে/সি


