বাখমুত দখলে মরিয়া রাশিয়া
৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসী বাহিনীকে পরাজিত করার বার্ষিকী উদযাপন করবে রাশিয়া। তার আগেই বিধ্বস্ত বাখমুত দখলে নেওয়ার জন্য হামলা তীব্রতর করেছে রুশ বাহিনী। পক্ষান্তরে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, নাৎসীদের সঙ্গে বিজয় লাভের দিনটিই হবে ইউক্রেনে রাশিয়ার পরাজয়ের দিন।
ইউক্রেন বলেছে, রুশ বাহিনীর তীব্র হামলার মধ্যে ইউক্রেন রাশিয়ার ৩৫টি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এসব ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে রাজধানী কিয়েভে। রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিটসকো বলেছেন, যদিও ড্রোনগুলো বিধ্বস্ত করা হয়েছে তারপরও পাঁচজন আহত হয়েছে। তিনি বলেন, সারাদেশে রাতভর রুশ হামলায় ৬০টি ইরান নির্মিত কামিকাজি ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।
এই তীব্র হামলার মধ্যেই ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন মঙ্গলবার কিয়েভ সফরে যাচ্ছেন এবং তিনি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তার মুখপাত্র বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের প্রতি ইইউ’র অকুন্ঠ সমর্থনের কথা আবারো ব্যক্ত করবেন।
ইউরোপ ডে পালনের দিনই উরসুলা কিয়েভ সফরে যাচ্ছেন। ৯ মে ইউরোপ যখন ‘ইউরোপ ডে’ পালন করে তখন রাশিয়া ‘নাৎসীদের’ পরাজিত করার দিবস উদযাপন করে।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়া শুধু ড্রোন হামলা নয়, ক্ষেপনাস্ত্র হামলাও চালাচ্ছে। তবে গত কয়েক মাসের মধ্যে এবারই তীব্র হামলা শুরু করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলা চালানো হয়েছে খারকিভ, খেরসন, কিয়েভ, মাইকোলাইভ এবং ওডেসায়। ইউক্রেন কর্মকর্তরা সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার সামনের সারির শহরগুলো দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
৮ মে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে বলেছেন, নাৎসীদের মতো পুতিনও হেরে যাবে ইউক্রেনে। তিনি উল্লেখ করেনে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা নাৎসীদের পরাজিত করেছে, তারাই আজ আত্মরক্ষার জন্য লড়াই করে চলেছে।
এনবিএস/ওডে/সি


