হংকংয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে বিক্ষোভ সঙ্গীত
হংকং সরকার ‘জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে ‘পপুলার গ্লোরি টু হংকং’ সঙ্গীতটি নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে এটি দ্বীপাঞ্চলটিতে বিক্ষোভ সঙ্গীত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
গ্লোরি টু হংকং সঙ্গীতটি নিষিদ্ধ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে হংকং কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালের গণবিক্ষোভের সময় থেকে এটি জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তে হংকং এর বেসরকারি জাতীয় সঙ্গীতে পরিণত হয়।
হংকংয়ের বিচার বিভাগ এই সঙ্গীত পরিবেশন, সম্প্রচার ও বিক্রয় বা বিতরণ নিষিদ্ধ করতে আদালতের আদেশের জন্য আবেদন করেছে। কারণ হিসেব জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে বিচার বিভাগ বলেছে, ভুলবশত এ সঙ্গীতকে হংকংয়ের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বার বার তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
চীনের ভূখন্ড হিসেবে ‘মার্চ অব দ্য ভলেন্টিয়ার্স’ ছাড়া হংকংয়ের আলাদা আর কোনো জাতীয় সঙ্গীত থাকতে পারেন।
গত মঙ্গলবার বিচার বিভাগের বিবৃতিতে আরো বলা হয় যে, এটি কেবল জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি অবমাননাই নয়, উপরন্তু দেশ ও স্পেশিয়াল এডমিনিস্ট্রেটিভ রিজিয়ন (এইচকেএসএআর) এর জন্যও মারাত্মক ক্ষতি করছে।
আদালত বিক্ষোভ সঙ্গীত নিষিদ্ধ করার অর্থ হবে কেউ আর এ সঙ্গীত ব্যবহার করতে পারবে না। কেউ তা করলে তাকে ২০২০ সালের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ‘বিচ্ছিন্নতার’ ধারায় অথবা উপনিবেশ আমলের দেশোদ্রোহ আইনে শাস্তি দেওয়া হবে।
তবে গ্লোরি টু হংকং সঙ্গীতটি কে রচনা করেছেন তা জানা যায়নি।
গত নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাগবি টুর্ণামেন্টে অংশ গ্রহণকারী হংকং এর দল এ সঙ্গীত গেয়েছিল। এশিয়ান আইস হকি ম্যাচেও এ সঙ্গীত গাওয়া হয়েছিল।
এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের চাইনা টিমের প্রধান সারাহ ব্রুকস এ পদক্ষেপকে ‘অবাস্তব’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, হংকং সরকারকে অবশ্যই মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর তার ক্রমবর্ধমান দমন বন্ধ করতে হবে।
হংকং সরকার গুগলকে গ্লোরি টু হংকং সঙ্গীতটি ডিলেট করার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু গুগল তা করতে অস্বীকার করেছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


