বিশ্বে পারমাণু অস্ত্র খাতে ব্যয় ৮২৯০ কোটি ডলার
বিশ্বে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এখন অনেক বেড়েছে। এতে পরমাণু অস্ত্রখাতে ব্যয় বেড়ে গেছে। কেবল গত বছর পরমাণু শক্তিধর ৯ দেশ এখাতে ব্যয় করেছে ৮ হাজার ২৯০ কোটি ডলার। দু’টি পৃথক রিপোর্টে এ খবর জানা গেছে।
গত সোমবার পরমাণু অস্ত্র ধ্বংসের আন্তর্জাতিক আন্দোলন (আইসিএএন) এবং স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) এ রিপোর্ট প্রকাশ করে।
রিপোর্টে বলা হয়, এ বছরের শুরুতে ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা কমে ১২ হাজার ৫১২টি দাঁড়ায়। ২০২২ সালের শুরুতে এ অস্ত্র ছিল ১২ হাজার ৭১০টি।
এসআইপিআরআই জানায়, কিছু পুরানো ওয়ারহেড় ধ্বংস করার কথা ছিল সেগুলোকে আবার যুক্ত করা হয়েছে। সম্ভাব্য ব্যবহার উপযোগী পরমাণু অস্ত্র সামরিক গুদামে মজুত ছিল ৯ হাজার ৫৭৬টি। যা পূর্বের বছরের চেয়ে ৮৬টি বেশি। সংস্থাটির পরিচালক ডান স্মিথ বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এবং ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা কিছু কমেছেও।
তিনি বলেন, ব্যবহারযোগ্য পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে তবে তা ১৯৮০এর দশকের ৭০ হাজারের চেয়ে অনেক কম। চীন সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র বাড়িয়েছে। বেইজিং তার ভান্ডারের ৩৫০টি পরমাণু অস্ত্র থেকে বাড়িয়ে ৪১০টি করেছে।
ভারত, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়াও তাদের পরমাণু ভান্ডার বাড়িয়েছে। রাশিয়া তার ভান্ডারের ৪ হাজার ৪৭৭টি থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৪৮৯টি করেছে। বিশ্বে মোট মজুদ পরমাণু অস্ত্রের শতকরা ৯০ ভাগই যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ভান্ডারে মজুদ রয়েছে।
স্মিথ বলেন, গত ৩০ বছর ধরে পরমাণু ওয়ারহেড় হ্রাস পাচ্ছিল। এখন সে হ্রাসের ধারার অবসান ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। আইসিএ এন জানায়, পরমাণু অস্ত্রখাতে প্রতি মিনিটে এখন তা বাড়ছে। শান্তিতে নোবেল জয়ী আইসিএএন জানায় পরমাণু অস্ত্রখাতে ব্যয় ২০২১ সালের চেয়ে টান তিন বছর ৩ শতাংশ করে বেড়েছে। ২০২২ সালে ৮ হাজার ২৯০ কোটি ডলার ব্যয় অর্থ প্রতিমিনিটে ব্যয় হয় ব্যয় হয় ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৪ ডলার।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৪ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার ব্যয় করে। দেশটি এখনো এ খাতে বেশি অর্থ ব্যয়কারী দেশ হিসেবে বহাল রয়েছে। এরপর চীন ১ হাজর ১৭০ কোটি ডলার এবং রাশিয়া ৯৬০ কোটি ডলার ব্যয় করে। উভয় দেশ এ খাতে ব্যয় ৬ শতাংশ করে বাড়িয়েছে। এ ছাড়া ভারত ব্যয় ২১.৮ শতাংশ বাড়িয়ে ২৭০ কোটি ডলার এবং ব্রিটেন ১১ শতাংশ বাড়িয়ে ৬৮০ কোটি ডলার করেছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


