প্রেসিডেন্টের অনুমতি ছাড়াই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারবে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধিতা সত্ত্বেও শুক্রবার সিনেট এ সংক্রান্ত একটি বিলের সংশোধনী পাস করে। তাতে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন প্রেসিডেন্টের অনুমতি ছাড়াই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী শাহাদত আওয়ান উচ্চ কক্ষে বিলটি উপস্থাপন করেন। ২০১৭ সালের নির্বাচনি অ্যাক্টটি প্রতিস্থাপন করবে ‘ইলেকশনস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩’।
এই সংশোধনীর উদ্দেশ্য ও কারণ উল্লেখ করে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধানে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) দায়িত্ব, সততা, সুষ্ঠু ও আইন অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন ও পরিচালনার কথা বলা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বলেন, নির্বাচনের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণের ক্ষমতা ১৯৭৩ সালেই নির্বাচন কমিশনকে ন্যস্ত করা হয়েছে। কিন্তু সাবেক সেনা স্বৈরশাসক জিয়াউল হক সংশোধনীর মাধ্যমে সেটি প্রেসিডেন্টকে ন্যস্ত করেন।
ইমরান খানের দলের সিনেটররা এই সংশোধনীকে প্রত্যাখান করেছেন। বিরোধী দরেল নেতা শাহজাদ ওয়াসিম বলেছেন, ‘সংবিধানে পরিস্কারভাবেই নির্বাচন নিয়ে বলা আছে। তাতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব প্রেসিডেন্ট ও গভর্নরের কাছে দেওয়া আছে।’
নির্বাচন কমিশন আরো ক্ষমতা চেয়ে পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই আবেদন করার পর এই সংশোধনী আনা হয়েছে।
পরবর্তীকালে, সিনেট চেয়ারম্যান সাদিক সানজরানি নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত সংশোধনী পরীক্ষা করার জন্য এপ্রিল মাসে একটি আট সদস্যের দ্বিদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠন করেন।
পাকিস্তানের বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হবে আগামী আগস্ট মাসে। এজন্য অনুমান করা হচ্ছে, পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী অক্টোবর মাসে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


