যুদ্ধ বার্ষিকীতে যুক্তরাষ্ট্রেকে ধ্বংসের সংকল্প উত্তর কোরিয়ার
কোরীয় যুদ্ধের ৭৩তম বার্ষিকীতে পিয়ংইয়ংয়ে বিশাল গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের শ্লোগানে যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংসের মাধ্যমে ‘যুদ্ধের প্রতিশোধ গ্রহণের’ সংকল্প ব্যক্ত করা হয়। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে একথা বলা হয়।
সমাবেশে এক লাখ ২০ হাজার ছাত্র-শ্রমিক অংশ নেন বলে বার্তাসংস্থা কেসিএনএ জানায়।
নগরীর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাবেশে লোকেরা নানা শ্লোগান লেখা প্লাকার্ড বহন করেন। তার একটিতে লেখা ছিল ‘সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার ভেতর।’ অন্য একটিতে লেখা ছিল, ‘সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব শান্তি বিনষ্টকারী।’
উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণের জন্য আরেকটি সামরিক গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে পারে বলে উদ্বেগের মধ্যে রোববার এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩১ মে গোয়েন্দা উপগ্রহ পাঠানোর উত্তর কোরিয়ার প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
কেসিএনএ জানায়, ‘সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রকে শাস্তি দেওয়ার মতো উপযুক্ত অস্ত্র উত্তর কোরিয়ার হাতে এখন আছে। এ দেশের প্রতিশোধকামীরা এখন শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের অদম্য আগুনে জ্বলছে।’
পরমানু অস্ত্রধর দেশ উত্তর কোরিয়া বৃহত্তম আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এনিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা বেড়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক পৃথক খবরে জানায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু যুদ্ধে আগুন জ্বালানোর জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। ওয়াশিংটন এ অঞ্চলে তার কৌশলগত পারমানবিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ করে পিয়ংইয়ং।
এ যুদ্ধবিরতির সমঝোতার মধ্যে ১৯৫০-৫৩ কোরীয় যুদ্ধের অবসান ঘটলেও এ ব্যাপারে কোন চুক্তি হয়নি। ফলে দুই কোরিয়া টেকনিক্যালি এখনও যুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


