জলবায়ু আলোচনা পুণরুজ্জীবনে চীনে জন কেরি 

যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি চার দিনের সফরে চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কমানো, কয়লার ব্যবহার হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা করার বিষয়ে আলোচনা করছেন। বিশ্বব্যাপী চরম আবহাওয়ার মধ্যে গত রোববার তিনি বেইজিং পৌঁছেন। 

বিশ্বের এ দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষণকারী দেশও। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্বালানি বিষয়ক অধ্যাপক ড্যান কামেন বলেন, দেশ দুটি  বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী। জ্বালানি খরচ, ব্যবহার ও দূষণের দিক থেকে দেশ দুটি ‘জি-২’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বিশ্বের মোট নি:সরিত গ্যাসের ৪০ শতাংশই আসে এ দেশ দুটি থেকে। এখন মূল প্রশ্ন হলো, গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশ দুটি কি তাদের মধ্যকার চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনা এড়াতে পারবে।

সফরকালে কেরি চীনের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি শেই ঝেনহুয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন । মার্কিন বিশেষ এই দূতের দপ্তর জানিয়েছে, জলবায়ু বিষয়ক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ও এ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উচ্চাশার পাশাপাশি একটি সফল কপ-২৮ সম্মেলন নিশ্চিত করতে তিনি চীনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। জাতিসংঘের এই জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হবে।

দুই দেশের দূতদের মধ্যকার এই বৈঠক থেকে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আসবে, এমনটা আশা করা হচ্ছে না। তবে এই বৈঠককে সংলাপের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হওয়া এবং কার্বন নিসরণ কমানোর ক্ষেত্রে অভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। বিশ্বের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে শুধু চীনের একার বিনিয়োগই অর্ধেকের বেশি। 

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাহিদা ও গ্যাস নির্গমন কমানো এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য আনতে দুই সরকার স্পষ্টত এখনো হিমশিম খাচ্ছে। এ জন্য দেশ দুটিকে স্ববিরোধী পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার সমালোচনা করছেন পরিবেশবিদরা।

 সম্প্রতি চীন কয়লানির্ভর জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরতা কমানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগের বছরগুলোতে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি অবকাঠামো শক্তিশালী করার পর ২০২০ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কার্বন নিয়ন্ত্রণ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন।

বেইজিং ও অন্যান্য শহরে বছরের পর বছর ক্রম অবনতিশীল ধোঁয়াশাপূর্ণ পরিবেশ জনমনে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কর্তৃপক্ষ কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিতে নিজ থেকেই উদ্যোগ নেয় এবং কয়লার উৎপাদন কমিয়ে আনে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news