যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে যাবে চীন, সতর্ক করলেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেছেন, বিশ্ব কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় শক্তি পরিবর্তনের মুখোমুখি হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে তার শীর্ষস্থানীয় অবস্থান হারাতে চলেছে।
তিনি বলেন, এটি ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে একটি বড় সংঘর্ষের কারণ হতে পারে যদি না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করে যে কোনো দেশ চিরকালের জন্য ‘বিজয়ী’ হতে পারে না।
রোমানিয়ার ইস্টার্ন ট্রান্সিলভেনিয়ার বেইলে তুসনাদ শহরে বার্ষিক বক্তৃতায় হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবান বলেন, চীন একটি উৎপাদন শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে এবং এখন আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। মাত্র ৩০ বছরে, চীন শিল্প বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে যা পশ্চিমকে প্রায় তিন শতাব্দী ধরে অর্জন করতে হয়েছে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি হিসাবে তার মর্যাদাকে ‘বিদায়’ বলতে চলেছে।
অরবান বলেন, ওয়াশিংটন যে মূল্যবোধগুলিকে সর্বজনীন হিসাবে চিত্রিত করতে চায় বেইজিং তাকে চ্যালেঞ্জ করছে। চীন আমেরিকান মূল্যবোধকে একটি ‘প্রতিকূল আদর্শ’ বলে মনে করে এবং ‘এতে কিছু সত্য আছে।’
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের এই ধরনের উন্নয়ন অবশ্যই ওয়াশিংটনের চোখে ভাল ঠেকবে না। কারণ আমেরিকা চিরকাল ‘বিশ্বের শীর্ষে’ থাকতে চাইবে। বিদ্যমান আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার প্রচেষ্টা মানব ইতিহাসে একাধিক অনুষ্ঠানে বড় ধরনের সংঘর্ষের জন্ম দিয়েছে। ‘কোন চিরন্তন বিজয়ী এবং চির পরাজিত নেই’ বলেও মন্তব্য করেন অরবান।
হাঙ্গেরিয়ান নেতা বিশ্বাস করেন যে দুটি মহান শক্তির মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব সম্ভবত তবে অনিবার্য নয়। বিশ্বের একটি নতুন ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে, এবং দুটি বিরোধী পক্ষের একে অপরকে সমান হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত, বলে মনে করেন অরবান। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রধান দেশগুলিকে ‘স্বীকার করতে হবে যে, আজ আমেরিকান আধিপত্যের পরিবর্তে, আকাশে দুটি সূর্য রয়েছে।’
অরবান আরো সতর্ক করে বলেন, ইউরোপ বিশ্ব অর্থনীতিতে তার প্রভাবশালী অবস্থান হারাতে চলেছে। অরবান এর জন্যে পশ্চিমের রুশ-বিরোধী নীতিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ইইউ ইতিমধ্যে ‘ধনী কিন্তু দুর্বল,’ রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দৃঢ়তার ফলে এটি আরও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা হারাবে।
অরবানের মতে বিভিন্ন বিধিনিষেধের মাধ্যমে রাশিয়াকে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা যেতে পারে এমন ধারণা একটি ‘ভ্রম’। ইইউ ইতিমধ্যেই তার ভ্রান্ত সিদ্ধান্তের ফলাফল প্রত্যক্ষ করেছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


