জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস: ধর্মগ্রন্থ অবমাননা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী

সম্প্রতি ইউরোপের একাধিক দেশে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। বুধবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মরক্কো এ প্রস্তাব উত্থাপন করে। 

প্রস্তাবে অবশ্য কোরআন পোড়ানোর বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, ‘মানুষের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত এবং পবিত্র গ্রন্থ বা প্রতীককে বিকৃত বা বিনষ্ট করা সম্পর্কিত যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং এই ধরণের আচরণ বা কার্যাবলীকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব জানাচ্ছে।’ সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গসংস্থা। জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্র এই পরিষদের সদস্য। বর্তমানে সাধারণ পরিষদে সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ১৯৩।

গত ২৭ জুন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে প্রথমবার কোরআন পোড়ানো হয়েছিল। ওই ঘটনার পর মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সমর্থন নিয়ে ১২ জুলাই জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে (ইউএনএইচআরসি) নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল পাকিস্তান। এই প্রস্তাব ইউএনএইচআরসিতে পাস হয়। কিন্তু তারপর ফের কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে সুইডেনে। গত ১৯ জুলাই সুইডেনে ইরাকি দূতাবাসের সামনে কোরআন ও ইরাকের জাতীয় পতাকা পোড়ায় একটি সুইডিশ উগ্রপন্থী ডান সংগঠন।

তারপর গত সোমবার ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে ইরাকি দূতাবাসের সামনে পোড়ানো হয় কোরআন। ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোর ২ দিনের মধ্যে সাধারণ পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব আনল মরক্কো এবং তা গৃহীতও হলো।

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে শান্তিকামী ও সহনশীল দেশ হিসেবে মরক্কোর খ্যাতি রয়েছে। পূর্ব আফ্রিকা ও আরব সংস্কৃতির দেশ হলেও মরক্কোর অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার ভিত্তি বেশ দৃঢ়। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দেশটিকে শান্তি, সহনশীলতা, আন্ত:ধর্মীয় এবং আন্ত:সাংস্কৃতিক বন্ধুত্বের অন্যতম দূত বলে বিবেচনা করা হয়।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news