কেমন হবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধ?

পৃথিবীর যা পরিস্থিতি রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধ বেঁধে গেলে কী হবে? ভাবনাটি নতুন নয়। যখনই পৃথিবী জুড়ে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে তার মধ্যে দেশ দুটো জড়িত থাকলে এমন আশঙ্কা করেছে অনেকেই। তাই সম্ভাব্য আক্রমণ কেমন হবে আর তা ঠেকাতে কি করতে হবে এমন পরিকল্পনাও করা আছে।

ইউক্রেনে যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমানবিক যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা আলোচনায়। ইতিমধ্যে প্রতিবেশি বেলারুশে নিউক্লিয়ার বোমা বসিয়েছে রাশিয়া। লক্ষ্য পশ্চিম ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালের শেষে পূর্ব ইউক্রেন থেকে রাশিয়াকে তাড়িয়ে দেয়া যাবে এমন আশায় আছে ন্যাটজোট। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন কি তা হতে দেবেন?

 যদি সত্যিই যুদ্ধ বেধে যায় তাহলে তা কিভাবে শুরু হবে? ন্যাটজোটভুক্ত দেশগুলোর আশংঙ্কা রাশিয়া তাদের উপর সর্বপ্রথম সাইবার হামলা চালাবে। সামরিক কম্পিউটারগুলোকে অচল করে দেওয়া হবে। কোন সফটওয়্যার আপডেটের সুযোগ নিয়েই এই সাইবার এ্যাটাক চালানো হবে।

ফলে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোজোট ভুক্ত দেশগুলোর হাইটেক ওয়েপন সিস্টেম সাময়িক অকেজো হয়ে পড়বে। এগুলো সারিয়ে তোলার আগেই ইউরোপ আর আলআসকা উভয় দিক দিয়েই রাশিয়া সেনা অভিযান শুরু করবে। যুক্তরাষ্ট্র  ডেফ কম টু লেভেলে অর্থাৎ নিউক্লিয়ার যুদ্ধের ঠিক পূর্বের ধাপে চলে যাবে। ৬ ঘন্টারও কম সময়ে মোতায়নের জন্য তৈরি থাকবে সশস্ত্র বাহিনী।

রাশিয়ার উপর প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্র আর ন্যাটজোটভুক্ত দেশগুলো শুরু করবে সাইবার হামলা। সামরিক কার্যক্রমের পাশাপাশি রাশিয়ার বিদ্যুৎখাতকে ধসিয়ে দেয়া হবে। রাশিয়া এসব তাকিয়ে দেখবে না বিমান হামলা চালিয়ে পোল্যান্ড আর রোমানিয়ার বিমানঘাঁটি গুড়িয়ে দেয়া হবে। যাতে সে দিক থেকে ইউক্রেনে কোন সাহায্য আসতে না পারে। জবাবে ক্রিমিয়ার রুশ বিমান ঘাটিতে জোর হামলা চালানো হবে। একই সাথে  ঝগ-৩ মিসাইল ছুঁড়ে রাশিয়ার কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটগুলো ধ্বংস করবে যুক্তরাষ্ট্র। এতে শত্রুর উপর রাশিয়ার জি পি এস টার্গেটিং এবং যোগাযোগের ক্ষমতা কমে আসবে।

মিগ৩১ পাঠিয়ে কিংজাল মিসাইল দিয়ে পোল্যান্ডে ন্যাটোর মিসাইল সিস্টেম ধ্বংস করবে রাশিয়া। দেশটি ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিবে। ইউরোপ এবার রাশিয়ায় সেনা অভিযান শুরু করবে। তারা রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চাইলে কৃষ্ণসাগরে থাকা মার্কিন আর ন্যাটো সাবমেরিন আর যুদ্ধ জাহাজ থেকে চালানো মিসাইল হামলায় রাশিয়ার ভূমি থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে।

 আকাশে দুই পক্ষের ফাইটার প্লেনের ডগফাইট দেখবে পরো পৃথিবী। ভারী অস্ত্রের ঝনঝনানিতে নাকাল হয়ে পড়বে বেসামরিকদের জীবন। সেনা সদস্যদেরপূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে রাশিয়া। লং-রেঞ্জ মিসাইল নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম তীরে ধেয়ে আসবে রাশিয়ার সাবমেরিন।

এই ফ্রন্টে হাওয়াই, জাপান ,দক্ষিণ কোরিয়া আর গুয়াম মার্কিন ঘাটি থেকে সক্রিয় হবে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার পূর্ব তীরে বিমান হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র।আর রাশিয়ার সাইবার হামলায় বিদ্যুৎ হারিয়ে অন্ধকার হয়ে যাবে পুরো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই পক্ষের মিসাইল সাইলোগুলো সাইবার হামলায় অচল হয়ে যাবে। এতে করে পারমানবিক হামলার আশঙ্কা কমে যাবে।

দুপক্ষ শক্তি হারিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবে শান্তি আলোচনায় যাবে নাকি সত্যি শুরু হবে পারমানবিক যুদ্ধ, এর  কোন সদুত্তর এখনও পাওয়া যায় নি।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

 

news