চীনে গুপ্তচরদের খপ্পরে উইঘুর শরণার্থীরা!

 লন্ডনের ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের বাইরে একটি বিক্ষোভ। কিন্তু এর রয়েছে একটি অন্ধকার দিক। এই উইঘুররা চান চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্রিটেন কথা বলুক। কিন্তু কেউ একজন তাদের বলেছে শরণার্থীদের মধ্যে ঢুকে পড়ে গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করতে। এবং সেই তথ্য চীনা কর্র্তপক্ষের কাছে পাঠাতে।

আমরা তাকে ডাকছি আলিম নামে এবং তার পরিচয় গোপন রাখছি। তিনি ব্রিটেনে বসবাসকারী একজন উইঘুর শরণার্থী। উইচ্যাটে অডিও কলের মাধ্যমে তারা আলিমের সাথে যোগাযোগ করেছিল। আলিম সেই কল রেকর্ড করে রেখেছিল অন্য ফোনের মাধ্যমে। সেই কল রেকর্ডিং আলিম আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।

রেকর্ডিং এর বক্তব্য হল, আমরা শিনজিয়াংয়ে আপনার পরিবারের সাথে দেখা করেছি। আমার এক সহকর্মী তাদের বিবরণ জোগার করেছেন। আপনি তাদের দেখতে চাইলে আমি একটি ভিডিও কল সেট আপ করতে পারি। তখন আলিম তাদের বলল হ্যাঁ প্লিজ ব্যবস্থা করুন। আমি শুধু তাদের সাথে একটু কথা বলতে চাই। তারা কেমন আছে জানতে চাই। আর কোন প্রশ্ন করবো না। ফোনে ওপার থেকে বলা হলো ঠিক আছে, কোন সমস্যা নেই। আমি ব্যবস্থা করছি।

এরপর অস্বাভাবিক এক ভিডিও কলের মাধ্যমে আলিমকে তার মায়ের সাথে কথা বলিয়ে দেয়া হয়। আলিমের তথ্য অনুযায়ী তারা আলিম ও তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য দুটো ভিন্ন ফোন ব্যবহার করে। তাদের স্ক্রিনের মধ্য দিয়ে আলিম তার মাকে দেখতে পায়। কিন্তু ঘটনার শুরু তখনই যখন সেই অফিসার আলিমের কাছে অন্য কিছু দাবি করেন।

তিনি বলেন যে আমরা শুনেছি যে উইঘুর অ্যাক্টিভিস্টরা আগামী মাসে মিটিং করবে। আমরা চাই আপনি সেখানে যাবেন কে কি বলছে তা শুনবেন, বিশেষে করে নেতারা। আমরা জানতে চাই এরা কারা।

 তারা আমার পরিবারকে জিম্মি করেছে। আমাকে এই অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে ফেলেছে। এ বছর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে বসবাসকারী চারশো উইঘুরের মধ্যে ষাট শতাংশের কাছে একই প্রস্তাব করেছে হয় গোপন তথ্য দাও, নয়তো শিনজিয়াংয়ে কী ঘটছে সে সম্পর্কে মুখ একেবারে বন্ধ রাখো।

বিদেশে থাকা উইঘুর মানুষকে চীন এভাবেই হুমকি দেয় এবং তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং বন্ধুবান্ধবদের নিয়ন্ত্রের চেষ্টা করে। বেশির ভাগ হুমকি আসে পুলিশ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকেই। জাতিসংঘে তথ্য বলছে  চীনের শিনজিয়াংয়ে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে বেআইনি ভাবে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা  

এনবিএস/ওডে/সি

 

news