৪৭ বছর পর চাঁদের পথে রাশিয়ার লুনা-২৫

বলা হয়েছে, উৎক্ষেপণের পাঁচ দিনের মধ্যেই লুনা চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে। 

সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ার আমুর ওব্লাস্টের ভোস্টোচনি কসমোড্রোম থেকে শুক্রবার সকাল আটটা দশ মিনিটে লুনা-২৫ উৎক্ষেপিত হয়েছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সেখানকার গ্রামের বাসিন্দাদের শুক্রবার সকালে অস্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কারণ ধারণা করা হয়েছিল লুনা ২৫-এর রকেট পর্যায়ের একটি সেখানে পড়ে যেতে পারে এমন ‘এক মিলিয়নের মধ্যে একটি’ সম্ভাবনা রয়েছে।

রাশিয়ার মহাকাশযানটি চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশের আগে এবং শেষ পর্যন্ত চাঁদের পৃষ্ঠে নামার আগে পৃথিবীর চারপাশে একটি কক্ষপথে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৯৭৬ সালের ১৮ আগস্ট রাশিয়ার শেষ চন্দ্রযান ল্যান্ডার লুনা- ২৪ চাঁদে অবতরণ করেছিল।

সিএএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের চন্দ্রযান-৩ এবং রাশিয়ার লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রায় একই সময়ে অবতরণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।  

ইসরোর পরিকল্পনা অনুযায়ী, চন্দ্রযান-৩’র চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা আগামী ২৩ আগস্ট। ওই দিনই চাঁদের মাটিতে নামতে পারে।

রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের তরফে দাবি করা হয়েছে, উৎক্ষেপণের পাঁচ দিনের মধ্যে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছবে লুনা-২৫। তার পর চাঁদের কক্ষপথ ধরে দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি পৌঁছতে আরও পাঁচ থেকে সাত দিন সময় নেবে।

চাঁদের দক্ষিণ মেরু এখনও অনাবিষ্কৃত। এর আগে পৃথিবী থেকে চাঁদে যত অভিযান হয়েছে, সবই উপগ্রহটির উত্তর গোলার্ধে। দক্ষিণ মেরু চিরকালীন অন্ধকারে নিমজ্জিত। সেখানে সূর্যের আলো পড়ে না। পুরু বরফের চাদরে আচ্ছাদিত এই অংশ অত্যন্ত দুর্গম। সেই কারণেই এখনও পর্যন্ত এখানে কোনও অভিযান সফল হয়নি। 

চাঁদের অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩-এর আগে যদি লুনা-২৫ সফলভাবে অবতরণ করতে পারে, তাহলে ইতিহাস তৈরি হবে। দক্ষিণ মেরুর সফল অভিযানের কৃতিত্ব সে ক্ষেত্রে যাবে রাশিয়ার দখলে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা  

এনবিএস/ওডে/সি

news