কানাডায় দাবানলের তীব্রতা বাড়ছে, মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন
আগুনে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলকে পশ্চিম কানাডার সঙ্গে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ একটি মহাসড়কের কিছু অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দাবানলে অনেক সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে। কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় শনিবার আরও তীব্র হয়েছে দাবানল।
এ অবস্থায় শুক্রবারের তুলনায় দ্বিগুণসংখ্যক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে, সামনে আরও কঠিন সময় আসতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া আগুনের ঝুঁকি কমাতে স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রদেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
আগুনে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলকে পশ্চিম কানাডার সঙ্গে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ একটি মহাসড়কের কিছু অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দাবানলে অনেক সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার মুখ্যমন্ত্রী ড্যানিয়েল এবি শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।’ তিনি বলেন, ৩৫ হাজারের মতো মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উদ্ধার সতর্কবার্তার আওতায় রাখা হয়েছে আরও ৩০ হাজার মানুষকে।
এবি আরও জানান, এই মুহূর্তে উদ্ধার হওয়া লোকজনের জন্য আশ্রয় ও ফায়ার ফাইটারের খুব প্রয়োজন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার। তিনি জানান, অস্থায়ী আবাসস্থলগুলোকে খালি রাখতে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
দাবানলের শিকার এলাকায় ড্রোন না চালাতে বাসিন্দাদের তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। অগ্নিনির্বাপণ তৎপরতা যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য এ নির্দেশ দেয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী ড্যানিয়েল এবি বলেন, ‘কিন্তু আগুন যে গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে সব উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারবেন না। এ কারণে প্রাদেশিক সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার জনগণের প্রতি অনুরোধ, বিপদের আঁচ পাওয়ামাত্র বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটে যাবেন। পরিস্থিতি খুবই ভয়ানক।’
কানাডার দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশজুড়ে ১ হাজার ৬২টি দাবানল সক্রিয় আছে। সেসবের এক তৃতীয়াংশই অবস্থান করছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায়।
গ্রীষ্মকালের গরম বাতাস এবং পার্বত্য এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা কুয়াশাপূর্ণ বাতাসের মিথস্ক্রিয়ায় সৃষ্ট বিদ্যুৎ ঝলক এবং গ্রীষ্মের কারণে শুষ্ক বনাঞ্চল এই দাবানলের জন্য মূলত দায়ী। এর তেজ আরও বাড়িয়ে তুলছে জোরালো বাতাস। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


