মিয়ানমারের জেট ফুয়েলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্র বুধবার মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরো প্রসারিত করেছে। দেশটির যুদ্ধ বিমানের জ্বালানি (জেট ফুয়েল) খাতের সঙ্গে জড়িত বা এতে সহায়তা দেওয়া বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে এই নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করা হয়েছে। দেশটি তার নিজস্ব জনগণের উপর বিমান হামলা চালাতে ব্যবহার করে, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।

দি ডিপ্লোম্যাটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ভাষায় প্রতিরোধ বাহিনীকে যেসব বেসামরিক জনগণ আশ্রয় দিচ্ছে বলে মনে করা হয় তাদের উপর বিমান হামলার সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ানোর প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সাগাইং অঞ্চলে সাম্প্রতিক দুটি বিমান হামলার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে: একটি জুনের ঘটনা। সে সময় ফাইটার জেট নিয়াউং কোন গ্রামের কাছে ১০ জন বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে। অপরটি এপ্রিলের ঘটনা। এ সময় পাজিগি গ্রামের কাছে ‘মহিলা ও স্কুলছাত্রী সহ ৮০ জন বেসামরিক লোককে’ বিমান হামলায় হত্যা করা হয়।

টেরররিজম এ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্সের ট্রেজারি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান ই নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, সামরিক প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি খাতকে লক্ষ্যে রেখে নিষেধাজ্ঞার আওতা বাড়ানো হয়েছে। আমরা সরকারি সংস্থাগুলিকে এভাবে বেশি বঞ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। এর মাধ্যমে তারা জনগণকে দমন করছে।’

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক বাহিনীর জেট ফুয়েল কেনা ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত ২ ব্যক্তি খিন ফিউ উইন ও জাও মিন তুন এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত ৩ প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে বিধিনিষেধের তালিকায় যুক্ত করেছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ।

ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত এক নির্বাহী আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।

ট্রেজারি বিভাগ মিয়ানমারের সাবেক নাম ব্যবহার করে আরও জানায়, ‘মিয়ানমারের জান্তা 'ধারাবাহিকভাবে বার্মার মানুষকে সহিংস জঙ্গিবিমান হামলার মাধ্যমে দমন করছে। তারা এই প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করতে শুরু করেছে।’সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news