নির্বাচনে কারচুপির দায়ে গ্রেপ্তার ট্রাম্প, ঐতিহাসিক ছবি তুলে ২০ মিনিট পর ছেড়ে দেয়া হল
২০২০ সালে জর্জিয়ায় নির্বাচনে কারচুপির চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প ফুলটন কাউন্টি কারাগারে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। সূত্র: সিএনএন, ভারতের আনন্দবাজার
২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে ট্রাম্প আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ফুলটন কাউন্টি কারাগারে ২০ মিনিটেরও বেশি সময় কাটানোর পর দুই লাখ ডলারের মুচলেকায় জামিন দেওয়া হয় তাকে।
ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করার পর নিয়ম অনুযায়ী কারাগারে তার আঙুলের ছাপ নেওয়ার পাশাপাশি সেই ঐতিহাসিক ছবি তোলা হয়, যাকে বলা হয় মাগ শট।
কারা কর্তৃপক্ষ পরে ট্রাম্পের ওই মাগ শট প্রকাশ করে। সেই ছবিতে গম্ভীর মুখের ট্রাম্পকে তীক্ষè দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম দেশটির কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টের মাগ শট প্রকাশ পেল। ফুলটন কাউন্টি জেলের রেকর্ডে ট্রাম্পের নম্বর পি০১১৩৫৮০৯।
জেল রেকর্ডে ট্রাম্পের বর্ণনায় বলা হয়, তার উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি, ওজন ২১৫ পাউণ্ড, সোনালী চুল এবং নীল চোখ।
সিএনএন জানায়, এ নিয়ে এই বছর চতুর্থবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্থানীয় বা ফেডারেল আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন।
বিডিনিউজ জানায়,জামিনে মুক্ত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) এ এক পোস্টে ট্রাম্প তার ওয়েবসাইটের ঠিকানা এবং মাগ শটটি পোস্ট করে লেখেন, “নির্বাচনে হস্তক্ষেপ। কখনো আত্মসমর্পণ নয়!”
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের পর এই প্রথম টুইটারে (বর্তমান নাম এক্স) পোস্ট দিলেন তিনি।
ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ প্রণোদিত’ বলে বর্ণনা করে আরো বলেন, আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর দৌড়ে রিপাবলিকান দল থেকে তিনিই সবার আগে আছেন।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্টদের মধ্যে প্রথম অভিযুক্ত হওয়া ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বিকালে নিউ জার্সি থেকে প্রাইভেট উড়োজাহাজে করে জর্জিয়া পৌঁছান। তারপর মোটর শোভাযাত্রা করে তিনি ফুলটন কাউন্টি জেলে যান। সেখানে তিনি সব মিলিয়ে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করেন। তার বেশ কয়েকজন সমর্থন এদিন কারাগারের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন।
এদিন বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করার অধিকার তার রয়েছে। বলেন, “আমি মনে করি, ওটা ছিল একটি কারচুপির নির্বাচন, চুরি করা নির্বাচন। এবং সেটিকে চ্যালেঞ্জ করার সব ধরনের অধিকার আমার থাকা উচিত। “এখানে যা ঘটেছে সেটা ন্যায়বিচারের সঙ্গে প্রতারণা। আমি কোনো অন্যায় করিনি এবং সবাই সেটা জানে।”
নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপের অভিযোগে গত এপ্রিল মাস থেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা হয়েছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


