১৩ রুশ নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের শিশুদের জোরপূর্বক নির্বাসন ও স্থানান্তর করার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে রাশিয়ার ১৩ ব্যক্তি এবং একটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনের শিশুদের মানবাধিকার লংঘনে জড়িত রুশ সমর্থিত আরও তিন কর্তৃপক্ষকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেন বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পাশে দাঁড়াতে পাওে না যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেন সরকারের হিসাবে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অব্যাহত রাশিয়ার আগ্রাসনে কমপক্ষে ১৯ হাজার ৫০০  শিশুকে তাদের বাড়ি থেকে নির্বাসন বা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি ন্যাবেনজিয়া নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বলেছেন, ইউক্রেনের শিশুদের কথিত অপহরণের বিষয়ে পশ্চিমা বিশ্ব মিথ্যা বলছে, কেননা রাশিয়া অপহরণ নয় তাদের রক্ষা করছে। 

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রাশিয়া-অধিকৃত ক্রিমিয়াতে অবস্থিত রুশ সরকারের মালিকানাধীন আর্টেক নামে একটি ‘সামার ক্যাম্প’ আছে। ইউক্রেনীয় শিশুদের সেখানে ‘দেশপ্রেম বিষয়ক কার্যক্রমে’ আটকে রাখা হয়েছে। তাদের পরিবারে ফিরে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এটিও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।

নিষেধাজ্ঞায় পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন, রাশিয়ার বেলগোরোড অঞ্চলের গভর্নরের এক উপদেষ্টা, রাশিয়ার কালুগা এবং রোস্তভ অঞ্চলের চিলড্রেন রাইটসের কমিশনার এবং চেচেন প্রজাতন্ত্রের সরকারের চেয়ারম্যান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত(আইসিসি) মার্চে পুতিন এবং রাশিয়ার শিশু কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ইউক্রেনের শিশুদের অবৈধভাবে নির্বাসনের দায়ে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তাদের অভিযুক্ত করা হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, রাশিয়া ইউক্রেনের শিশুদের স্থানান্তর করতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করছে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি
 

news