নোবেলজয়ী সাংবাদিককে বিদেশি গুপ্তচরের তালিকাভুক্ত করলো রাশিয়া

তিনি হলেন ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পাওয়া সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ কর্তৃপক্ষ সমালোচকদের দমনের জন্য গুপ্তচর লেবেলটিই ব্যবহার করে থাকে। রাশিয়ার শীর্ষ একটি প্রকাশনা নোভায়া গেজেটা’র সম্পাদক দিমিত্রিকে টার্গেট করে এই পদক্ষেপটি সুশীল সমাজের প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর একটি বিস্তৃত ক্র্যাকডাউনের অংশই বলা যায়।

রাশিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তকে ন্যায্যতা দিতে বলেছে যে, মুরাতভ রাশিয়ান ফেডারেশনের বিদেশি এবং অভ্যন্তরীণ নীতির প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরির লক্ষ্যে মতামত প্রচারের জন্য বিদেশী প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছিলেন।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিচার মন্ত্রণালয় মুরাতভকে অন্যান্য বিদেশি এজেন্টদের কাছ থেকে সামগ্রী তৈরি এবং বিতরণের জন্যও অভিযুক্ত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দিমিত্রি মুরাতভ তার বিভিন্ন বিদেশি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন কন্টেন্টের মাধ্যমে গোপনে তিনি রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিদেশে পাচারের সঙ্গেও জড়িত।’

এই মুহূর্তে রাশিয়ায় মুরাতভসহ ৬৭৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ‘বিদেশি গুপ্তচর’ তালিকায় রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

রাশিয়ায় বিদেশি গুপ্তচরদের ‘জনগণের শত্রু’ বলেও উল্লেখ করা হয়। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলে ‘বিদেশি গুপ্তচর’ বা ‘জনগণের শত্রু’র তালিকা করা শুরু হয়, যা ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ৩২ বছর পেরিয়ে গেলেও চলছে এখনও।  কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি এই তালিকায় পড়ে, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে ব্যাপক প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হয় এবং অর্থ আয়-ব্যয় সম্পর্কিত তথ্য সবসময় উন্মুক্ত রাখতে হয়।

এছাড়া এই তালিকার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন ট্যাগ দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কন্টেন্ট শেয়ার করতে হলে নজরদারির আওতায় থাকা বিদেশি গুপ্তচরদের অবশ্যই সেই ট্যাগ যুক্ত করতে হবে। দিমিত্রি মুরাতভের পত্রিকা নোভায়া গেজেটাকে ‘অগ্রহণযোগ্য সংস্থা’ ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

 

news