রাশিয়াকে অস্ত্র দিলে উত্তর কোরিয়াকে মূল্য দিতে হবে, হুঁশিয়ারী যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র আলোচনা ‘সক্রিয়ভাবে অগ্রসর হচ্ছে’ বলে তার দেশ বিশ্বাস করে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘একটি আধুনিক সার্বভৌম রাষ্ট্রের অন্তর্গত অঞ্চল জয় করার চেষ্টার জন্য বা শস্যের সংরক্ষাণাগার এবং প্রধান শহরগুলোর বিভিন্ন অবকাঠামো আক্রমণ করার জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করলে উত্তর কোরিয়াকে তার মাশুল গুণতে হবে।
গত সোমবার বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন কিম।
ক্রেমলিন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, দুই নেতার মধ্যে সম্ভাব্য সরাসরি আলোচনার রিপোর্ট সম্পর্কে ‘কিছু বলার নেই’।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু গত জুলাই মাসে উত্তর কোরিয়া সফর করেন এবং কিমের সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়া কিম এবং পুতিনও গত মাসে তাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার করে চিঠি বিনিময় করেন।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলও রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অস্ত্র পাওয়ার জন্য রুশ কর্তৃপক্ষের পিয়ংইয়ংয়ের মুখাপেক্ষী হওয়ার বিষয়টি আসলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতাকেই তুলে ধরছে।
প্যাটেল বলেন, ‘আমাদের নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি বিধিনিষেধ এবং এ সংক্রান্ত প্রভাবের কারণে ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে এমন অস্ত্রের জন্য রাশিয়া বিশ্বজুড়ে মরিয়া অনুসন্ধান করতে বাধ্য হয়েছে।’
মস্কোতে অস্ত্র পাঠানো হলে ওয়াশিংটন পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ নেবে জানতে চাইলে প্যাটেল সেটির বিশদ বিবরণ দেননি। তবে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার অংশীদারদের সাথে সমন্বয় করে ‘প্রয়োজনে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে’।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


