উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পথ খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র: বিশ্লেষণ
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের রাশিয়া সফর এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক দেশ দুইটির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ‘নব অধ্যায়ের’ সূচনা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাইলেও তার কোন সহজ পথ জানা নেই ওয়াশিংটনের।
মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে চুক্তির বিস্তারিত কখনোই তেমন জানা সম্ভব হয় না। তবে পশ্চিমের ধারণা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনের মতো ‘স্পর্শকাতর’ নানা সামরিক প্রযুক্তি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ভাগাভাগি করছে রাশিয়া।
পুতিন-কিম বৈঠক নিয়ে ওয়াশিংটনের মুখপাত্র বলেছেন, পুতিন এখন এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছেন যে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন একটি দেশের কাছেও তিনি সাহায্য ভিক্ষা করছেন। ছুটে গেছেন নিজের দেশেরই একেবারে শেষ সীমানায়। এর পরিণাম হবে মারাত্মক। তবে সেই পরিণাম কী হবে, সেটি অবশ্য তিনি বলেনি।
উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো তেমন কোনো উপায়ও আর যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেই। এমন এক পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানেন না যে, তিনি কীভাবে উত্তর কোরিয়ার বেপরোয়া নেতা কিমকে আলোচনার টেবিল বসাবেন। তিনি এখন চীনবিরোধী জোট গঠন নিয়েই বেশি ব্যস্ত ব্যস্ত রয়েছেন।
গত বছরের মে মাসে সিউল সফর করেন বাইডেন। এ সময় সাংবাদিকেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, কিমকে তিনি কোনো বার্তা দিতে চান কি না। এর উত্তরে বাইডেন সেদিন শুধু ‘হ্যালো’ বলেছিলেন।
বিশ্বব্যাপী চলমান সংঘাত নিরসন ও সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব পিস। সংস্থাটির উত্তর–পূর্ব এশিয়া বিশেষজ্ঞ ফ্রাঙ্ক অম। তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, সে অনুযায়ী বাইডেন যদি সত্যিই কিমের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান, তাহলে সেই আগ্রহ দেখানোর ইঙ্গিত প্রদান হবে হাস্যকর। কারণ গত সাত দশক ধরে দুই দেশের পক্ষ থেকে একের পর এক ভুল পদক্ষেপ ও সুযোগ হাতছাড়া করার কারণে সব মিলে এমন একটা অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে যেটা বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিমকেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে না। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


