জাপানে  ৭৫ উর্ধ্ব প্রবীণের সংখ্যা ১৫ শতাংশের বেশি, ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

রোববার স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রবীণদের এই হিসাব প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রবীণদের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার বেড়েছে। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সোমবার জাপানে প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন দিবস পালন করা হয়।

এবার সোমবার( ১৮ সেপ্টেম্বর) দিবসটি পালিত হয়। জাপানের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী পুনরুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন প্রবীণেরা। তাদের অবদানকে সম্মান জানাতে বছরের এই দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। দিবসটি পালনের আগে জাপান সরকার প্রতিবছর প্রবীণদের তালিকা প্রকাশ করে। এ বছরে প্রথমবারেরমতো জাপানে ৭৫ উর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ অতিক্রম করেছে।

জাপানে কোনো নাগরিকের বয়স ৬৫ বা এর বেশি বয়স হলে তাদের প্রবীণ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই বয়সে মানুষ আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরজীবনে প্রবেশ করেন এবং পেনশন পেতে শুরু করেন। সর্বশেষ হিসাবে এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার। দেশটির মোট জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪৬ লাখ। সেই হিসাবে জাপানে ৬৫ বছরের বেশি মানুষ রয়েছেন ২৯ দশমিক ১ শতাংশ।

৬৫ বছরের বেশি নাগরিকের দেশের তালিকায় জাপান শীর্ষে। এরপর ইতালি ও ফিনল্যান্ড। সেখানে ২৪ দশমিক ৫ ও ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বা তার বেশি। 

কীভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই জাপানের নীতিনির্ধারক ও সমাজবিজ্ঞানের গবেষকেরা চিন্তা-ভাবনা করে আসছেন। সাময়িক সমাধান হিসেবে বেশ কয়েক বছর আগে অবসরের সর্বনিম্ন বয়স বাড়ানো হয়। 

প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকায় জাপানকে সবচেয়ে যে বড় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা হলো তাদের জন্য সামাজিক কল্যাণ ব্যয়। চিকিৎসা ও পেনশন ছাড়াও তাদের জন্য নানারকম সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা করে দিতে হচ্ছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি
 

news